বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে সামাজিক বনায়ন সড়কের পাশের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এমনকি অনেক জায়গায় গাছের শিকড়ও তুলে নিয়ে গেছেন গাছ ব্যবসায়ীরা। আবার কিছু গাছের গোড়া ওই বনায়নের মধ্যেই রয়ে গেছে।
বাকেরগঞ্জ বাউফল সড়কের ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল সড়কে গাজীতলা পূর্বপাশ থেকে পন্ডিত বাড়ি চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে বিক্রয় করা হয়েছে। সড়কে সরকারিভাবে ওই গাছগুলো লাগানো হয়েছিল।
বাকেরগঞ্জ বন বিভাগের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর ইউনিয়নের সড়কের দু’পাশে সামাজিক বনায়নের জন্য সরকারিভাবে ১৯৯৮ সালে সামাজিক বনায়নের অর্থায়নে সড়কের দুই পাশে রেইনট্রি, মেহগনি, চাম্পল, কড়ই, শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী সোহরাব গাজী ও তার পুত্র ইমরান গাজী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কালিশুরির রিয়াজ ও আবু বক্কর, ফারুক চকিদার সড়কের পাশ থেকে গাছগুলো কাটে। গাছগুলো বিক্রি করেছেন ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমোহল গ্রামের মিরাজ চাপরাশি সহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এক সপ্তাহ যাবত তারা ওই সড়ক থেকে রেন্ডি, চাম্পল ও মেহগনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলে নিয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে ওই সড়কের দুইপাশের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে আসছে। সরকারি এই গাছ প্রকাশ্যে বিক্রয় করে আসলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাছ কাটা বন্ধ করতে কার্যকারী কোন ভূমিকা নেয়নি।
স্থানীয় লোকজন বাকেরগঞ্জ বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে গাছ ব্যবসায়ী সোহরাফ গাজীর কাছ থেকে পাঁচটি মেহগনি গাছ উদ্ধার করে।
ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্র হালদার গত এক সপ্তাহ আগে গাছ ব্যবসায়ী সোহরাব গাজীর থেকে চোরাইকৃত ৫ টি মেহগনি গাছ উদ্ধর করলেও তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ইউডি মামলা করেছেন। প্রভাবশালী ওই সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে সরকারি গাছ বিক্রয় করে আসলেও তারা রয়ে গেছেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন কর্মকর্তা মনিন্দ্র হালদার বলেন,কিছু গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি ইউডি মামলা দেয়া হয়েছে। যাহারা সরকারি গাছ কেটে নিয়েছেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, কমিটির অনুমোদন ছাড়া সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা অবৈধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।