নিরাপত্তা জনিত কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ও আশপাশের এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমনে পঞ্চম দফায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হলো। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ৪ ডিসেম্বর থেকে সাজেক ও পার্শবর্তি এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দফায় সাজেক ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করে। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর থেকে অনির্দৃষ্ট কলের জন্য এই ঘোষণা এসেছে। ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটির আর্কষণীয় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যললেয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। এর ৩৩দিন পার হওয়ার পর ফের সাজেকে পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করা হলো।
উল্লেখ্য খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির অনাকাঙক্ষিত পরিস্থিতির পর্যটক স্পট বন্ধ করে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় পর্যটক ভ্রমনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরুৎসাহিত করা নিষেধ্যাজ্ঞা তুলে নেয় ।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জে এসএস মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে আজ মঙ্গলবার ইউপিডিএফ’র এক সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে। তার নাম রমেশ চাকমা।
ওইদিন দুপুরে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নের শীব পাহাড় নমক স্থানে সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর মধ্যে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে । সেখানে ঘণ্টা ব্যাপী থেমে থেমে এই সংর্ঘষ হয়েছে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে । নিহত রমেশ চাকমা ইউপিডিএফ গ্রুপের একজন সশস্ত্র সদস্য বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ- প্রসীতের ইউনিয়ন কমান্ডার দেবাশীষ চাকমা, সহকারী কমান্ডার মঙ্গল চাকমা, ডাক্তার উত্তম চাকমার নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে অপর সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে এখনো উভয় দলই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর ওই এলাকায় জেএসএস ও ইউপিডিএফ সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল। এই এলাকাটি অতি দূর্গম হওয়ায় বিস্তারিত জানা যায়নি।