ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নাঙ্গলকোটের কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন

সংবাদদাতা,নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নাঙ্গলকোটের কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এই বারের  অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা এখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি নামবে বাজারে। শীতকালীন সবজি বিক্রি করে বেশি লাভবান হওয়ার স্বপ্ন এখন কৃষকের চোখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নাঙ্গলকোটে শীতকালিন সবজী বাম্পার ফলন হওয়ার আশা কৃষকদের। মাঠ পর্যায়ে সঠিক সময়ে কৃষি কর্মকর্তারা কুষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করছেন।
 নাঙ্গলকোট কৃষি অফিস জানায়,সবজী চাষে নাঙ্গলকোটের চাহিদা পূরণ করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা চাহিদা পূরণ করে থাকে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪২০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে গেছে বীজ ও চারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে উপজেলার বাজারগুলোতে। হঠাৎ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে যায়। বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজি চাষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  চাষ করা সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালংশাক, লালশাক, ধনেপাতাসহ হরেক রকম শাক-সবজি আছে। সরেজমিনে জানা গেছে, কৃষকদের মধ্যে কেউ জমি তৈরি করছেন। আবার কেউ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার জমিতে গজিয়ে ওঠা সবজির চারা গাছের পরিচর্যা করছেন। সব মিলিয়ে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার ও পানি দিতে ব্যস্ত কৃষকেরা। অনাগত ফসলের দিকে তাকিয়ে তাদের মুখে ফুটছে তৃপ্তির হাসি। । শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য কেউ করছেন জমি প্রস্তুত আবার কেউ কেউ করছেন ক্ষেত পরিচর্যা। এ বছর বেশি লাভের আশায় দিনভর মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা।  নাঙ্গলকোট হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার গ্রামের কৃষক তোফায়েল মজুমদার বলেন এ বছর বীজ-সার-কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম নাগালে থাকায় চাষীরা সবজী চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে।  বেশি লাভের আশায় শীতকালীন শাক-সবজি চাষে মাঠে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। পাটোয়ার গ্রামের কৃষক আহসান উল্লা বলেন, ‘এরই মধ্যে দেড় বিঘা জমিতে শাকসবজী  ও মুলা আবাদ করেছি। কিছুদিন পরে ফসল বিক্রি করা যেতে পারে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। গত বছরের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। তাই বেশি ফলন ও ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব। বাতুপাড়া গ্রামের আমির হোসেন  বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীতের সবজি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের  শাক-সবজি আবাদ করেছি।
চৌকুড়ী গ্রামের কৃষক আবদুল হক বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে শীতকালীন সবজি আবাদ করেছি  বীজ ও সার দাম কম হলে কুষকদের জন্য সুবিধা হবে। আমাদের উৎপাদিত সবজি যখন বাজারে উঠবে তখন ভাল  দাম পাবো বলে আমাদের বিশ্বাস।
উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি রবি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ-সার পর্যায়ক্রমে বিতরণ হচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজির অধিক ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।’তবে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

×