ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নিজ বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

মেডিকেল রির্পোটার

প্রকাশিত: ১২:৩২, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১২:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজ বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রাজধানীর চকবাজারের একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার হাত, পা বাধা এবং গলায় কাপড় পেঁচানো শ্বাসরোধ করা ছিলো। এছাড়া পুরুষাঙ্গও কাটা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকবাজার ইসলামবাগ আরএনডি রোড়ের ৬৬/১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার একটি রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। 

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, ইসলামবাগের ওই বাসায় হাত-পা এবং মুখ বাধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখ এর মধ্যে যে কোনো সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, নিহতের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাপস জানান, ইসলামবাগ মাদ্রাসা গলিতে নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নজরুলের। এছাড়া শেয়ারে প্লাস্টিকের আরও একটি ব্যবসা রয়েছে। গত শুক্রবারে স্ত্রী সুমি আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। এরপর থেকে ওই বাসায় একাই ছিলেন নজরুল। সোমবার রাত দশটার দিকে তার ওয়ার্কশপ থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার বাসায় গিয়েও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে ঘটনাটি ফোনে গ্রামে থাকা তার ছেলে এবং স্ত্রীকে জানানো হয়। পরে গ্রাম থেকে সন্ধ্যায় তার ছেলে সুমিত (২২) ঢাকায় আসে। এসে ছেলের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে দ্রুত একটি রুম থেকে বাবার এনআইডি কার্ড নিয়ে তারা চকবাজার থানায় যান বাবা নিখোঁজের জিডি করতে। তবে পুলিশ জিডি না নিলে পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাত দেড়টার দিকে ওই বাসায় ফিরেন। বাসার নিচ থেকে তাপস তার নিজের বাসায় চলে যান আর নজরুলের ছেলে তার বন্ধুকে নিয়ে রাত থাকার জন্য তাদের বাসায় ঢুকেন। বাসায় ঢোকার পর এক রুমে দেখেন, বিছানার উপর তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে খবর পেয়ে তাপসও সেখানে যান এবং দেখেন বিছানার উপর হাত-পা এবং মুখ বাধা এবং শরীর থেকে রক্ত ঝরে বিছানা ভরে গেছে। তার লিঙ্গ কাটা। পরে তারা থানায় খবর দেন। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সোমবার রাতে নজরুল বাসায় ঢুকেছেন। এরপরে মঙ্গলবার সকালেই তার গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি তাকে আর পরে দেখেননি। এরপর বাসায় কে বা কারা ঢুকেছে তিনি কিছুই জানেন না। তাদের ধারণা, এই ঘটনার সাথে তার বাসার দারোয়ান অথবা ম্যানেজার অথবা পরিবারের কেউই জড়িত থাকতে পারে।

জাফরান

×