আমন ধান কেটে বাড়ি ফিরছেন কৃষক
জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে সোনালি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলাজুড়ে ধান খেতগুলো যেন সোনালি রঙে সাজতে শুরু করেছে। চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এ বছর প্রায় ২৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে উফসী বিভিন্ন জাতের আমনের চাষ হয়েছে। এ ধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭২, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৭৬ বিনা-৭ ও ১৬ জাতের ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার ধান খেতগুলোর গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের মাঠে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে কিছু কিছু নিচু জমির ধানের ফলন একটু দেরি করে শুরু হলেও ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলে ফলন বেশি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় কম সময়ের মধ্যেই ধান পাকতে শুরু করেছে। তাই অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই অনেকে আমন ধান কাটা শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এই বছর লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনীতি কুমার সাহা বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। চলতি আমন মৌসুমে ৫৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে মাসে ১ বিঘা হারে ৫ কেজি উফশী বীজ ধান ও কৃষকপ্রতি ১০/২০ কেজি বিনামূল্যের সার বিতরণ করেছি।