মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধুলন্ডি-সিংজুরী-পেচারকান্ডা ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতু সংস্কার কাজ বন্ধ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঢুল-ি-সিংজুরী আঞ্চলিক সড়কের পেঁচারকান্দা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর আকার বৃদ্ধি এবং সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। নির্ধারিত সময় পাড় হলেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে বিপাকে পড়েছে এ পথে চলাচলকারী তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় যানবাহন নিয়ে জেলা সদরে যেতে হচ্ছে ২০ কি.মি. ঘুরে। ফলে এলাকার শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষ যাতায়াতসহ পণ্যসামগ্রী আনা নেওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকারে হচ্ছেন।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পেঁচারকান্দা বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর ওপর ১০০ দশমিক ১০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর উত্তর পাশের বন্যার ভাঙনে সেতুর এপ্রোচ সড়ক নদীতে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ’ প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৫.৮ মিটার সেতু বৃদ্ধি ও পুরো সেতু সংস্কারের কাজ হাতে নেয় এলজিএডি। এ কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিতু ট্রেডার্স জামালপুর। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুরু হওয়া কাজ ২০২৪ সালের ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হবার পরও কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫০ ভাগ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পিন্টু শাহা মুঠোফোনে জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্ষার কারণে কাজ শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়েছে। ২য় ধাপে কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবার কথা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি ঘিওরে নতুন যোগদান করেছি। বর্তমানে সেতুর কাজ চলমান রয়েছে । সিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়িতে ব্রিজের অভাবে ভোগান্তি
পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি থেকে জানান, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জেলা সদরে চেলাছড়া এলাকায় চেংগী নদীর ওপর হয়নি কোনো ব্রিজ। শুধু একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খাগড়াছড়ির চেলাছড়ার হাজার হাজার মানুষকে। বর্ষাকালে নৌকা আর খরার সময় বাঁশের সাঁকো পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। এমনকি বন্যায় পারাপার করতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের পেরাছড়া থেকে চেলাছড়াসহ ১২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে চেঙ্গী নদী ওপর দিয়ে। এ ছাড়াও পাশর্^বর্তী মাটিরাঙ্গা উপজেলায় গোমতি ইউনিয়নবাসীও আসা-যাওয়া করে থাকেন এ পথ দিয়ে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের।
গ্রামবাসী যোগেশ্বর ত্রিপুরা বলেন, চেঙ্গী নদীতে ব্রিজ না হওয়ার ফলে আমাদের ছেলে মেয়েরা নদী পারাপার করতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুর্ঘটনায় পতিত হয় এর মধ্যে নদীতে পরে মারা গেছে বিন্দু ত্রিপুরা, চিত্ত ত্রিপুরা, বনানী ত্রিপুরা’।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী রাজু আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত ব্রিজটি এলজিইডি আইডিভুক্ত সড়কের অন্তর্ভুক্ত কিনা তা আগে যাচাই করে দেখতে হবে, যদি সড়কটি প্রস্তাবিত হয়, ব্রিজটির এলজিইডির আওতাভুক্ত সড়কের মধ্যে পরে তাহলে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব যাচাই-বাছাই পূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হবে।