ভোলার মেঘনা নদীতে মৎস্য বিভাগের অবৈধ জাল উদ্ধার অভিযানে হামলা চালানো হয়েছে। এসময় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহ ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা টি ঘটে আজ মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভোলা মৎস্য বিভাগের আহত কর্মী তানজিলা, জাফর,রফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় মৎস্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালায়। এসময় তারা মেঘনা নদীতে পাতা একটি অবৈধ মশারী জাল উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় ছকেট জামালের ভাগ্নে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী
শাহিনের নেতৃত্বে জেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এসময় সদর উপজেলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান,মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম (৪৫) ,জামাল (৩০), তানজিলা (২৮), জাফর (৩০),সহ ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মৎস্য বিভাগের টিমের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান। অভিযান সম্পন্ন না করেই তাদের আহত অবস্থায় ফিরে আসতে হয়। পরে তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মৎস্য বিভাগের একটি টিম নিয়মিত অভিযানে যায়। এসময় অবৈধ একটি জাল তাদের নজরে আসে। এসময় জেলেদের সাথে কথা বলার সময় অতর্কিত ভাবে অসাধু একটি চক্র হামলা চালায়। সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোলা মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাত মোঃ হাসনাইন পারভেজ জানান, তিনি খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। এব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ হাতে পাইনি।