পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন
দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বান্দরবানে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে চট্টগ্রাম যুবসমিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন ফেডারেশন। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উদ্যোগে রাঙ্গামাটিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি এবং পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি।
বান্দরবানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়। এ উপলক্ষে দুটি স্থানে পৃথক দুটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সরকারিভাবে সোমবার বেলা ১১টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
এ সময় নবনিযুক্ত বান্দরবান পর্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইয়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাওছার, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মনজুরুল হক প্রমুখ।
অপরদিকে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে এক বিশাল জনসমাবেশ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মামলা-হামলার কারণে দীর্ঘ ৯ বছর এ ধরনের সভা-সমাবেশে করতে পারেনি এ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলটি। সমাবেশে জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খ-খ- মিছিল সমাবেশস্থলে জড়ো হয়। এতে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুমন মারমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের মামলা-হামলার কারণে আমরা দীর্ঘ ৯ বছর সভা সমাবেশ করতে পারিনি। তাই রাজার মাঠে আমরা মনের কথা বলতে এসেছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে বলে সরকারিভাবে চুক্তির বর্ষপূর্তি পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে এবং পাহাড়ে যতগুলো উপ-গ্রুপ রয়েছে, তাদের প্রতি বিশেষ সমর্থন প্রত্যাহার হলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কারণ জনগণের প্রয়োজনে উপ-গ্রুপগুলো সৃষ্টি হয়নি, তাই এই গ্রুপগুলো টিকে থাকার কথা না বলে মনে করেন বক্তারা।
রাঙ্গামাটি ॥ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন’ এই সেøাগান সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।