ছবি: সংগৃহীত।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কৃষকরা কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দামে বিক্রি করছেন। অথচ, একই মরিচ বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত মরিচের ন্যায্য মূল্য পেতে চান।
বগুড়া জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানিয়েছে, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং চালানো হবে।
এ মৌসুমে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল মরিচ চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা মরিচ সংগ্রহ শুরু করেছেন এবং বাজারজাত করছেন। এ কারণে বাজারে মরিচের ঝাল কমে আসতে শুরু করেছে। তবে, কৃষকরা এখনও তাদের উৎপাদিত মরিচের যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলায় মরিচের দাম ১৮০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা মণ ছিল। এর মানে, কৃষকরা প্রতি কেজি মরিচের জন্য ৪৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন। তবে, মরিচ উত্তোলন এবং আড়তে পৌঁছানোর জন্য কৃষকদের পরিবহণ খরচ হিসেবে প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা খরচ হয়। ফলে, কৃষকরা প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে মাত্র ৩০ টাকা লাভ পাচ্ছেন।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা একই মরিচ ৩৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন, যার ফলে একদিকে কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, আর অপরদিকে সাধারণ ক্রেতারা বাজারে সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না।
শেরপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া চরের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি তার তিন বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছেন। প্রথমে ৪৫০০ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করলেও, সোমবার পর্যন্ত দাম ১৮০০ টাকা মণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি ও অন্যান্য আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে এ বছর মরিচ চাষে খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাজারে দাম কমছে। যদি এভাবে দাম কমতে থাকে, তবে কৃষকরা লোকসান গুনবেন। তিনি আরও বলেন, খুচরা বাজারে মরিচের যে দাম, তার অর্ধেক দামও তারা পাচ্ছেন না। এজন্য তিনি সরকারের কাছে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এ অবস্থায়, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা জরুরি। যদি কৃষকদের প্রতি কৃষি সুরক্ষা এবং ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা না হয়, তবে দেশের কৃষি খাত চরম সংকটে পড়তে পারে, যা সমগ্র কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
নুসরাত