রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সেবা না পেয়েও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রতি মাসেই দেওয়া হচ্ছে ন্যূনতম বিল। দীর্ঘদিন ধরে বিটিসিএলের লাইনে কাজ না করায় অধিকাংশ তার নষ্ট হয়ে গেছে। দেখাশোনারও কেউ নেই। তবে অচল লাইনে বিল সচল থাকায় অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি মাসেই গুনতে হচ্ছে টেলিফোন বিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০টি টেলিফোনের সংযোগ রয়েছে। ২টি সংযোগ বাদে সবগুলোই সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অচল। দুইটার মধ্যে একটা উপাচার্য অফিসে এবং আর একটা উপাচার্যের কোয়াটারে। ৫০টির মধ্যে আবার ১৮টি টেলিফোনের প্রতি মাসে ন্যূনতম বিল দিতে হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও নিয়মিত প্রতি মাসে সর্বনি¤œ ১৭৩ টাকা বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর ল্যান্ডফোন সংযোগ। আবার সংযোগ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর নামে বহাল রয়েছে টেলিফোন সংযোগগুলো। তবে সেগুলো অচল।
সার্ভার রুমে সংযোগের লাইনগুলো যবুথবু করে পড়ে আছে। তারপরও বছর শেষে মাসিক ন্যূনতম বিল দিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এতে সরকারি টাকা গচ্চা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার বাৎসরিক একটা বাজেট এই খাতে দেওয়ায় প্রতি মাসেই রাজস্ব খরচ হচ্ছে। বটিসিএলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম বন্ধ আছে বলেও জানা যায়। এখানকার দায়িত্বে বর্তমানে কেউ নেই। প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে এটা আইসিটি সেলের দপ্তরের অধীনে আছে। আবার আইসিটি সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলে এটা প্রকৌশল দপ্তরের অধীনে আছে। আসলে এটার দায়িত্ব কে এটা কেউ জানে না।
এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী (ত্বড়িৎ) আহসানুল হাবিব বলেন, টেলিফোন সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এটার নিয়ন্ত্রণ অফিসিয়ালি কেউ করে না। তবে দুইটা চালু ছিল সে দুইটা এখন চলে কি-না জানি না। তবে প্রতি মাসে একটা মিনিমাম বিল দিতে হয়। তবে এই বন্ধ সংযোগে কতদিন ধরে বিল প্রদান করছে এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে দেড় দুই বছর ধরে বিল আসছে আমরা সেটা প্রদান করতেছি। আগে কীভাবে দিত কে দিত সেটা আমি জানি না।
এ বিষয়ে আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন বলেন, আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করি। টেলিফোনের বিষয়গুলো আমরা দেখি না। কারণ এটার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা প্রকৌশল দপ্তর দেখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ বলেন, আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমরা প্রায় ১৫টির ঊর্ধ্বে ন্যূনতম বিল পরিশোধ করি। তাই এই বন্ধ ফোনগুলো সচল করার জন্য পিবিএক্স সিস্টেমে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এই জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে কাজটি হাতে নিয়েছি।