কাহারোল উপজেলায় রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে নদীর দু’পাড়ের মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢেপা নদীর দু’পাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন হলো নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তারা এভাবে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করলেও, এই নদীর ওপর হয়নি কোনো সেতু। বর্ষা মৌসুমে এই সাঁকোটিও আর ব্যবহার করা যায় না। তখন নৌকা দিয়ে পার হতে হয় এই নদী। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রায় দু’পাড়ের ১৫ হাজার মানুষকে।
দেখা যায়, নদীর একপাড় থেকে অন্যপাড়ের দূরত্ব প্রায় এক হাজার ফুট। ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কয়েকটি গ্রামের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘাট দিয়ে চলাচল করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদেরও।
এলাকাবাসী জানান, সেতু না থাকায় ঈশানপুর, ঈশ্বরগ্রাম, বাড়ীভাসা, কাজী কাঠনা, বলরামপুর, সাহাপাড়া, ফেরুষাডাঙ্গাসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। এতে তারা ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। এখন শীতকাল হলেও বর্ষাকালে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই সেতু নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে এলাকার চিত্র, পাল্টে যাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান।
এ ব্যাপারে কাহারোল উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ জানান, অচিরেই ওই এলাকায় নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে। দিনাজপুর স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু নির্মাণের অনুমোদন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। ঢাকা থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে কার্যক্রম শুরু হবে।’