ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের সূত্রে চীনের সুদূর শহর থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এসেছেন চেং নাং নামে এক যুবক। তিনি মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেছেন উপজেলার বিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা অন্তরা খাতুনকে। গত ২২ নভেম্বর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর অন্তরা খাতুনের বাবা আব্দুর রশিদের বাড়িতে চেং নাং ও অন্তরা একত্রিত হন। খবরটি জানাজানি হলে, স্থানীয়রা এক নজর চীনা জামাতাকে দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন।
এটি জানা গেছে যে, গত ঈদুল আযহায় তার পূর্বের সম্পর্কের অবনতির কারণে অন্তরা খাতুন তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এক কন্যা সন্তানের মা অন্তরা, এরপর গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যান। সেখানে তার পরিচয় হয় চেং নাং-এর সঙ্গে, যিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। প্রথম দেখাতেই অন্তরাকে পছন্দ করেন চেং নাং এবং তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয়। পরবর্তীতে মোবাইল নম্বর এবং ফেসবুক আইডি বিনিময় হয়, যা একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সেতু হিসেবে কাজ করে।
চেং নাং তার প্রেমের প্রস্তাব জানিয়ে অন্তরাকে বিয়ে করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে অন্তরার পরিবারও সম্মতি জানায়। এমনকি, ভিন্ন দেশের জামাতা পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি।
অন্তরা খাতুন বলেন, "গাজীপুরের রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম আমার মেয়ে নিয়ে। সেখানে চেং নাং এবং তার বন্ধুরা ছিলেন। আমাকে দেখে সে আমাকে পছন্দ করে এবং পরে নম্বর আদান-প্রদান হয়। তারপর আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমি একজন ডিভোর্সি এবং আমার ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে, তবুও চেং নাং আমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আমি বিষয়টি আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করি এবং তারা রাজি হন। আমি তাকে বলেছিলাম, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করলে বিয়ে হবে না। তিনি সম্মতি জানান এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর আমরা বিয়ে করি। আমি খুবই খুশি, কারণ চেং নাং সত্যিই একজন ভালো মানুষ।"
চীনা যুবক চেং নাং তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, "আমি অন্তরাকে বিয়ে করে আনন্দিত। আমার পরিবারও খুশি। খুব শীঘ্রই তাকে চীনে নিয়ে যাবো এবং নতুন জীবন শুরু করবো।"
নুসরাত