২৫ বছর বয়সী যুবতী তাহুরা সুলতানা রেখা।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ২৫ বছর বয়সী যুবতী তাহুরা সুলতানা রেখা।একজন মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখতে, আশেপাশের সবকিছু কে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে তরুণী তাহুরা সুলতানা রেখা।তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবীণ শিক্ষক রশিদ আহমেদ ও গৃহিণী তৈয়বা খাতুনের মেয়ে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।গত শুক্রবার সকাল ভোর ৬ টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপ জিরো পয়েন্ট থেকে হাঁটা শুরু করেন। আজ তৃতীয়দিন তিনি ঈদগা এলাকায় পৌছান। এ পর্যন্ত তিনি ১১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।তাহুরা সুলতানা রেখা চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে অনার্স পড়াশুনা শেষ করেন। তবে তার এ যাত্রায় কোনো ধরনের স্পন্সর নেই। ফিনান্সিয়াল ব্যবসার মাধ্যমে তিনি এ যাত্রার খরচ বহন করেন।তিনি বলেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে, দেশকে উপভোগ করতে এই যাত্রা শুরু করেছেন। আমি পরিবারের সবার ছোট মেয়ে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পদযাত্রা শুরু করেছি। আমার এই পথচলায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ও ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। নিজেকে সুস্থ রাখতে দেশকে উপভোগ করতে এই পদযাত্রা শুরু করেছি ।তাহুরা সুলতানা রেখা আরও বলেন, পায়ে হেঁটে দেশের দীর্ঘতম দূরত্বের পথ অতিক্রম করছেন। চলার পথে যেখানে বিরতি নিয়েছেন, সেখানে স্থানীয়দের জড়ো হয়ে হাতছানি দিয়েছেন।
এই দীর্ঘ পদযাত্রায় ২০/২৫ দিনে পৌঁছতে পারবেন বলে আশা রাখেন।তাহুরা আরও বলেন, ছোট থেকেই ঘুরাঘুরি পছন্দ করি। সময়ের সাথে স্ট্রিম স্পোর্টস এর যুক্ত হয়ে যাই। চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলো ভালো লাগে দেখেই হয়তো এইসব এর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সব সময় এইসব নিয়েই থাকতে চাই।আমার উদ্দেশ্য হলো- হাঁটার অন্যতম কারণ একজন মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং আশেপাশের সবকিছু কে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে এই দুইটা জিনিস এর প্রয়োজনীয়তা সব চাইতে বেশি।হাটবেন আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। আপনার সুস্থ চিন্তাভাবনা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে। সেই সঙ্গে আপনি পজিটিভলি যেকোনো কিছু নিতে পারবেন। আপনার আশেপাশের মানুষগুলো আপনার কাছে নিরাপদ অনুভব করবে। এইভাবেই আমাদের সমাজকে আমরা নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে পারবো বলে আশাবাদী।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, একজন নারী হিসেবে এই ধরনের পদক্ষেপকে অবশ্যই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সাধুবাদ জানাই। সে একজন নারী হয়ে এধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হাঁটা খুবই প্রয়োজন।
আর কে