নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সহকারী কমিশনার, ভূমি) রেজোয়ান ইফতেখারের অপসারণ দাবিতে ঝাঁডুমিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ওএমএস-এর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, সরকারের উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করা, দলীয় কর্মসূচি পালনে ভিন্নমত প্রদান ও অসদাচরণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের পছন্দের লোকদেরকে লটারি ব্যতিরেকে ওএমএস-এর ডিলার হিসাবে নিয়োগ না দেয়ায় আমাকে হেনস্থা করতে এসব করাচ্ছেন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীসহ শতাধিক নারী পুরুষ উপজেলা সদরে ঝাড়ুমিছিল বের করেন। উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে তারা স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন। এ সময় মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা অনিয়মে জড়ান। বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বিরোধিতা করে আসছেন। মদন পৌরসভায় ওএমএস-এর ডিলার নিয়োগ ও উপজেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে রবিবার বিকেলে বিএনপির নেতারা তার কার্যালয়ে গেলে তিনি অসদাচরণ করেন। তাই আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ দাবি করছি।
অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেজোয়ান ইফতেখার বলেন, মদন পৌরসভায় ৬জন ওমএসএর ডিলার নিয়োগ করা হবে। এজন্য ১৬ জন আবেদন করেছেন। সরকারী নীতিমালা মোতাবেক আমরা উন্মুক্ত লটারি পদ্ধতিতে ডিলার বাছাই করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদারসহ কয়েকজন এসে লটারি ছাড়াই তাদের পছন্দের তিনজনকে ডিলার হিসেবে নিয়োগের চাপ সৃষ্টি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে গালাগালসহ কিছু লোককে উস্কে দিয়ে মিছিল করিয়েছেন।
রাজু