স্বচ্ছতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাত্র ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করে শেরপুরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চাকুরি পেলেন ৩৯ জন প্রার্থী। শনিবার রাতে শহরের অষ্টমীতলাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে নিয়োগ কার্যক্রমের সকল ইভেন্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন শেরপুরের পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
ওইসময় শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। স্বচ্ছ ও ঘুষবিহীন নিয়োগ হওয়ায় সরকার ও পুলিশ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফলাফল প্রকাশের পর চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার। সেইসাথে উত্তীর্ণ সকলকে প্রশিক্ষণ শেষে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করার আহবান জানান।
ওইসময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল, ময়মনসিংহ) আফরোজা নাজনীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল, নেত্রকোনা) সুমন কুমার দাস পিপিএম-সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ৩৯ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ৩৪৪১ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরিক্ষা শেষে ৫৮১ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে এবং লিখিত পরীক্ষায় ২৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তন্মধ্যে চূড়ান্তভাবে নারী ও পুরুষ ৩৯ জনকে মনোনীত করে শেরপুর জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ড। এরমধ্যে ১ জন নারী ও ৩৮ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া ৪ জনকে রাখা হয়েছে অপেক্ষমান তালিকায়।