পূর্বাচল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয় কমিটি শনিবার সমাবেশ করে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেছেন, গত ১৫ বছরে যারা অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন ১ নম্বর সেক্টর এলাকায় পূর্বাচলের ১৭টি মৌজার মধ্যে মাইজগাঁও মৌজার খতিয়ান বিনামূল্যে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাজউক চেয়ারম্যান জানান, অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ তদন্তের জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অবৈধভাবে বরাদ্দ পাওয়া প্লটগুলো যাচাই-বাছাই করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যাদের নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাদের তথ্য, প্লট নম্বরসহ আমাদের দিন। আমরা তা যাচাই-বাছাই করব। তবে মনে রাখবেন, বরাদ্দকৃত প্লট রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে তা বাতিল করতে উচ্চ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়।’ উপস্থিত অধিবাসীদের দাবি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা যেসব দাবি তুলে ধরেছেন, তা যথাযথভাবে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ হয়ে থাকলে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বাচল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয় কমিটির আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দুলাল হোসেন বলেন, ‘পূর্বাচলের প্লটবঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত অধিবাসীদের পুনর্বাসন, মসজিদের জমি বাড়ানো, বিদ্যালয়ের মাঠের সংযোজন, এবং নিরাপদ নগরায়ণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে বরাদ্দকৃত সব প্লট বাতিলের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজউককে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমাদের আশা, বর্তমান সরকার এই দাবি বাস্তবায়ন করবে।’
পূর্বাচল প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে রাজউকের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অধিবাসী ও প্লটবঞ্চিতদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।