ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) হবিগঞ্জ জেলার ৪টি চা বাগানের চা পাতা উত্তোলন কার্যক্রম প্রায় ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চায়ের উৎপাদন বন্ধ থাকায় অর্থসংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা মালিক ও শ্রমিকদের।
বাগান সূত্র জানায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর এনটিসির চেয়ারম্যান ও সাত পরিচালক একযোগে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এতে ব্যাংক ঋণ আটকে অর্থসংকটে পড়ে কোম্পানি। চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ আত্মগোপনে এবং পরিষদের সাতজন পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। এতে আকস্মিকভাবে লস্করপুর ভ্যালির চারটি বাগানসহ সাতটি চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি আটকে যায়।
চন্ডিছড়া, পারকুল, তেলিয়াপাড়া ও জগদীশপুর চা-বাগানের প্রায় তিন হাজার শ্রমিকের সাপ্তাহিক মজুরি বন্ধ হয় ২২ আগস্ট থেকে। পরে শ্রমিকেরা বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোনো সমাধান না পেয়ে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কর্মবিরতিতে যান শ্রমিকেরা।
চা-বাগানের শ্রমিকরা বলেন, আমাদের তিন মাস ধরে বেতন ও রেশন বন্ধ। যারা বাইরের কাজ করতে পারেন, তারা কোনোভাবে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি। এক বেলার খাবার তিন বেলা খেতে হচ্ছে।
গত বছরও রেকর্ড গড়ে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায় বন্ধ থাকা চা-বাগানগুলোতে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ কেজি। তবে উৎপাদনে ভাটা পাড়ায় এবার লক্ষ্য অর্জন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
তানজিলা