বাঁশ বেতের কাজ করার সময় আব্দুর নূরের কথা বলছেন প্রতিবেদক মো. মামুন চৌধুরী ।
আব্দুর নূর বাঁশ বেত দিয়ে জিনিস তৈরী করে ১৬ বছর ধরে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে একই উপজেলার রোদ্রগ্রামে ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
বাড়িতে না থাকার কারণ জানতে চাইলে আব্দুর নূর জানান, রোদ্রগ্রামে প্রচুর বাঁশ রয়েছে। এ কারণে এখানে ভাড়ায় বসবাস করে বাঁশ বেতে জিনিস তৈরী করে জীবন পরিচালনা করছেন। তিনি বসে থাকতে রাজি নয়। বৃদ্ধ বয়সে পরিশ্রমের মাধ্যমে রোজগার করতে পেরে আনন্দিত। তিনি বলেন, সরকারি সহযোগীতার পাওয়ার আশায় সময় নষ্ট না করে বাঁশ বেতের কাজে ব্যস্ত থাকি। এতে ওড়া, ঝুড়ি, কুলা, ডালা, খাঁচাসহ নানা সামগ্রী তৈরি করছি। এসব স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার হয়। এছাড়া দুই ছেলেও নানা পেশায় কাজ করে রোজগার করছে। এসব দিয়ে পরিবার নিয়ে কোনোমতে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।
আব্দুর নূরের পরিবারের সদস্যরা জানান, বেঁচে থাকতে হলে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। সামান্যতেও চলা যায়। এখানে হতাশ হয়ে লাভ নেই। আমরা অল্পতে খুশি। সুখে আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা জায়েদ মিয়া বলেন, আব্দুর নূর পরিবার নিয়ে রোদ্রগ্রামে বসবাস করে বাঁশ বেত দিয়ে নানা জিনিস তৈরী করে বিক্রি করছেন। এসব বিক্রির টাকায় তিনি পরিবার নিয়ে চলছেন। তিনি শান্তপ্রিয় লোক। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগীতা করলে তিনি আরো এগিয়ে যেতে পারবেন।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এ কে এম আবদুল্লাহ ভূঞা বলেন, যারা বাঁশের খাঁচা বানিয়ে জীবিকা চালান, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য চেষ্টা করা হবে। তারা সমিতি গঠন করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সমিতি করলে নিয়মানুযায়ী সেই সমিতিকে নিবন্ধনের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। এতে প্রতিবছর আর্থিক অনুদান পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
আর কে