কমিটির বেড়াজালে আটকে আছে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা
কমিটির বেড়াজালে আটকে আছে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা। গত ছয় বছরেও চালু হয়নি বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা’ পদ্ধতি প্রবর্তনের কার্যক্রম সমন্বয় করতে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এটি ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি’ নামেই পরিচিত।
এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রকে। ঢাকা উত্তর সিটি করোপরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রও এই কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ডিটিসিএ, পুলিশ, রাজউক, বিআরটিএ, বিআরটিসি, সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা এবং পরিবহন বিশেষজ্ঞদের এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। ছয় বছরে এই কমিটি ২৯টি সভা করেছে।
গত ১১ নভেম্বর ডিএসসিসির বর্তমান প্রশাসক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ডিএসসিসির বুড়িগঙ্গা হলে সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নতুন করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির কাজ হলো বাস পরিচালনায় আগ্রহীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করা। ১২ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট অফিসারকে।
অন্য সদস্যরা হলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আরবান ট্রান্সপোর্ট), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর), ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (টিইসি), তত্ত্বাবধায়ক ডিএসসিসি প্রকৌশলী (টিইসি), বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং), বিআরটিসি ডিজিএম (অপারেশন), সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ মো. হুমায়ুন রশিদ খলিফা ও ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প পরিচালক।
এভাবে কমিটি ও উপকমিটি গঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ঢাকার বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতির কার্যক্রম। তবে ২০২১ সালে ২১ নম্বর রুট (ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-প্রেস ক্লাব-মতিঝিল-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে প্রথম বাস সেবা চালু করে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি’। এরপর আরও দুই রুটে এই বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে এই বাস সার্ভিসের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও অন্য বাস কোম্পানির প্রতিযোগিতার কারণে এই সার্ভিসটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সর্বশেষ গত ৫ আগস্টের এই সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে কবে নাগাদ এই সার্ভিস আবার শুরু করা যাবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ডিটিসিএ।
এ বিষয়ে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জনকণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা নগর পরিবহন বাস সার্ভিস আবার কবে থেকে চালু করা যাবে- এটা এখন নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ আমরা চাই যোগ্যতা ও সক্ষতার ভিত্তিতে বাস রুট পরিচালনা করতে। এজন্য একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। বাস কোম্পানির আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ রুট অনুযায়ী বাস কোম্পানিগুলো কিভাবে গঠন করা হবে এবং কতদিন লাগতে পারে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক জানান, তিনি এ বিষয়ে এত বিশেষজ্ঞ নন। তবে বাস পরিচালনার জন্য বিভিন্ন রুট সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভের কাজ শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রুটের বাস ফিটনেস, ট্রাফিক মুভমেন্ট, রুট সার্ভেসহ বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে। এটা করতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। এরপর বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সিটি সার্ভিস ও আন্তঃজেলা বাসের জন্য ১০টি ডিপো এবং টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
কেন স্থায়ী হয়নি ঢাকা নগর পরিবহন ॥ গত ছয় বছরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়ররা ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির’ মাধ্যমে গণপরিবহর ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো বা বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালুর কোনো উদ্যোগেই নেয়নি। একেক সময় একেকজন মেয়র তাদের সুবিধাজনক ও লোক দেখানোর জন্য কিছু বাস সার্ভিস চালু করেছিল। এর মধ্যে বিআরটিসি বাস দিয়ে চক্র সার্ভিস চালু করেছিল তৎকালীন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন। পরবর্তীতে ঢাকা নগর পরিবহন নামের সবুজ রঙের বাস সার্ভিস চালু করেছিল ডিএসসিসির সদ্য সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। কিন্তু এই বাস সার্ভিসগুলোর একটিও রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি অনুসরণ করে করা হয়নি। তাই বাস সার্ভিসগুলো স্থায়ী হয়নি বলে জানান গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গণপরিবহনের কোম্পানিগুলো। পৃথিবীর কোনো দেশ নেই, যেখানে এত কোম্পানি ভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে মোবাইল কোম্পানির মতো দেশে গুটি কয়েক কোম্পানিকে গণপরিবহনের লাইসেন্স দিতে হবে। এজন্য বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করতে হবে। এটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।
বিশে^র বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছে অনেক আগ থেকে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে রয়েছি। ঢাকা সিটির দুই মেয়র জনগণের সেবা দেওয়ার পরিবর্তে শুধু পয়সা ইনকামের ধান্দা করেছিল। রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু না করে লোক দেখানো বাস সার্ভিস চালু করেছিল। তাই এগুলো স্থায়ী হয়নি। বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি লাইনে অন্য কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না। গুটি কয়েক কোম্পানির মাধ্যমে পুরো ঢাকা শহরের বাস সার্ভিস পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে ঢাকাকে রক্ষা করা যাবে না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বাস মালিকরা।’ তাই ঢাকা শহরকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আধুনিক ও সংগঠিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. সামছুল হক জানান, ঢাকার মধ্যেই গুলশান এলাকায় ‘ঢাকা চাকা’ নামে পরিবহন চলে। ওই বাসগুলোতে কোনো আঁচড় নেই, চালকের মধ্যেও পাল্লাপাল্লির মনোভাব নেই। এর বাইরে পুরো ঢাকার দৃশ্য অন্য রকম। বাস কোম্পানিগুলোর পাল্লাপাল্লির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হয় যানজট আর বাড়ে বিশৃঙ্খলা। সরকারি সংস্থা বিআরটিসির বাসও ইজারা দেওয়ার কারণে একইভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটা কঠিন অসুস্থ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা থেকে বের হতে হলে প্রথম সচিবালয় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিশে^র অন্যান্য দেশে সাধারণত সরকারি আমলা বা সচিবরাই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার আসে-যায়। কিন্তু সচিব দীর্ঘদিন পলিসি পর্যায়ে থাকেন। তাই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা ও ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার এখনই উপযুক্ত সময়। এজন্য ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িসহ ছোট গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম কার্যক্রম শুরু করতে হবে সচিবালয় থেকে। সচিব ও আমলাদের ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে দিতে হবে। সরকারি আমলাদের গাড়ির নেশা দূর করতে আধুনিক বাসের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সবাই একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারে। এজন্য রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু না হলে কেউ ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার মূল কাঠামো (মেরুদ-) দিতে পারবে না।
২০ বছরেও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নেই ॥ ঢাকা ও আশপাশ জেলার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য ২০১০ ও ২০১১ সালে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা (ডিএইচইউটিএস) করে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। ২০১৪ সালে সংস্থাটি ঢাকার জন্য করা ২০ বছরের কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) সংশোধন করতে গিয়ে আরেক দফা সমীক্ষা চালায়। এর আগে ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিদেশী পরামর্শক দিয়ে সরকার এসটিপি প্রণয়ন করে। এসব গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ ও যানজটের কথা বিবেচনা করে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিক্ষিপ্তভাবে বাসের অনুমোদন না দিয়ে পরিকল্পিত ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়। কিন্তু গত ২০ বছরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
তবে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সব বাস ছয়টি কোম্পানির অধীনে আনার উদ্যোগ নেন। পরিবহন মালিক, সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সঙ্গে ২৫-২৬টি বৈঠক করে তাদের রাজি করানো হয়। তিনি ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে পরিকল্পিত বাস পরিচালনার বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করার দায়িত্ব দেন। কিন্তু আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উদ্যোগটি অনেকটাই থেমে গেছে। পরবর্তীতে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা’ পদ্ধতি প্রবর্তনের কার্যক্রম সমন্বয় করতে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই কমিটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ করেছে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতির কার্যক্রম।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ এস এম সালাউদ্দীন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তৈরি এসটিপিতে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও আমরা ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি চালু করতে পারিনি। এর কিছু কারণ আছে। এর অন্যতম কারণ হলো যথা স্থানে উপযুক্ত ব্যক্তির অভাব। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সাহেব বেঁচে থাকলে এতদিনে এটি বাস্তবায়ন হয়ে যেত। এখন ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির’ মাধ্যমে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিন্তু এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিটিসিএতে উপযুক্ত লোক নেই। তাই সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে দেরি হচ্ছে। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি ছাড়া ঢাকা গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনা যাবে না বলে জানান তিনি।
বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি কীভাবে কার্যকর ॥ বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনা অর্থাৎ বিক্ষিপ্তভাবে বাসের অনুমোদন না দিয়ে পরিকল্পিত ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়। প্রতিটি কোম্পানির বাসের রং থাকবে পৃথক। গোলাপি, নীল, মেরুন, কমলা, সবুজ ও বেগুনি এই ছয়টি রং দ্বারা বাসগুলো চিহ্নিত করা হবে। একটি কোম্পানিতে এক রঙের বাস থাকবে।
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে দুটি পদ্ধতিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো সিটি সার্ভিস বা আরবান ট্রান্সপোর্ট এবং অপরটি হলো ঢাকার আশপাশের জেলার (আরএসটিপির রুট) বাসগুলোকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৮টি ক্লাস্টারে (শ্রেণির) ২২টি কোম্পানির মাধ্যমে ৪২টি রুটে নগর পরিবহন বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এসব জেলার বাস সার্ভিসকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩টি মাদার কোম্পানির মাধ্যমে এসব জেলার সার্ভিসকে পরিচালনা করা হবে। আন্তঃজেলার সকল বাস ঢাকার বাইরে ৪টি বাস টার্মিনালে থামবে। সেখান থেকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ঢাকায় প্রবেশ করবে। ঢাকায় সিটি টার্মিনাল থাকবে ৮টি। সাব আরবান ট্রান্সপোর্টের বাসগুলো এসব সিটি টার্মিনালে প্রবেশ করবে। সিটি টার্মিনাল থেকে আরবার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ভ্রমণ করবে যাত্রীরা। এক্ষেত্রে রাজধানীর ২৯১ রুট কমিয়ে ৪২ রুটে এনে তা বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ডিটিসিএর সূত্র জানায়।