সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
পরিবেশ ও নদী রক্ষায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের টেরি বেকার পদকে ভূষিত হওয়ায় পরিবেশ সংগঠক খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেলকে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা করেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পরিবেশ সংগঠক ও বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন-মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: হারুন মিয়া, হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, উপাধ্যক্ষ আব্দুজ জাহের, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, শচীন্দ্র ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফরাশ উদ্দিন শরীফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশ সংগঠক মোহাম্মদ আলী মমিন।
বক্তব্য দেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জমির আলী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: আব্দুল হক, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, হবিগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক পীযূষ চক্রবর্তী, প্রথম আলো'র নিজস্ব প্রতিবেদক হাফিজুর রহমান নিয়ন, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম, রোটারী ক্লাব অব হবিগঞ্জের সভাপতি মহসিন চৌধুরী, রোটারি ক্লাব অব হবিগঞ্জ খোয়াইয়ের সভাপতি আজিজুর রহমান মান্না, পরিবেশ সংগঠক এডভোকেট বিজন বিহারি দাস, এডভোকেট হাসবি সাঈদ চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম, মো. বাহার উদ্দিন, সাংবাদিক আব্দুল হালিম, কলেজ শিক্ষক শামীমা বেগম শাম্মী, তারুণ্য সোসাইটির সভাপতি আবিদুর রহমান রাকিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী মোঃ সামী, গাছ মামা খ্যাত মো: রায়হান, পরিবেশকর্মী আফরোজা সিদ্দিকা, সাইফুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন, জে কে এন্ড এইচ কে হাই স্কুল এন্ড কলেজের শত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৌরভ ওয়াহেদ, রিফাত, ইন্টারেক্টর তাসিন বিলওয়াল আরিয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নাট্যকার সিদ্দিকী হারুন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তোফাজ্জল সোহেল দীর্ঘদিন ধরে কেবল হবিগঞ্জ শহর বা জেলা নয়, সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে পরিবেশ-প্রতিবেশ ও নদ-নদী রক্ষায় তৎপর আছেন। হাওড় ও এর জীববৈচিত্র রক্ষায় তিনি সোচ্চার। হবিগঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলসমূহসহ জেলার বন অপরাধসমূহের বিরুদ্ধে আপোসহীন ভূমিকা জেলাকে একটি সবুজ জনপদে পরিণত করেছে।
চা-বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সামনের কাতারের সংগঠক হিসেবে যেকোনো মানবাধিকার ইস্যূতে তার অবস্থান স্পষ্ট। জেলার পর্যটন শিল্প বিকাশেও তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্নসময় স্বার্থান্বেষীমহলের ও দখল-দূষণকারীদের হুমকীর সম্মুখীন হয়েছেন। তারপরও দমিয়ে যাননি। টেরি বেকার পুরস্কার পাওয়ায় তোফাজ্জল সোহেলই কেবল সম্মানীত হননি। তাতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল হয়েছে। হবিগঞ্জবাসীও তাঁর এই অর্জনে গর্বিত।
এসআর