কৃষক বাজার
টোল কিংবা খাজনা ফ্রি কৃষক বাজার ক্রমশ চাঙ্গা হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি সরাসরি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছে। এছাড়া ক্রেতারারাও সহনীয় দামে তাঁদের পছন্দের সবজি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। আজ, শুক্রবার এ বাজারে গরুর মাংস বিক্রির কম্বো প্যাকেজ চালু করা হয়। সকালে মাত্র ২০০ টাকার মধ্যে ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস, সাথে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও আলু দেওয়া হয়েছে। একইভাবে মাংসের ৫০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি করা হয়েছে ৩৫০ টাকায়। সাশ্রয়ী এমন দামে দুই প্যাকেজে ২২৫ জন ক্রেতা এ সুযোগ পেয়েছেন। মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তরা এতে খুশি রয়েছেন। এছাড়া এ বাজরে একটি ডোনেট বক্স রাখা হয়েছে। অসহায় মানুষকে কেউ যদি কোন শাকসবজি প্রদান করতে চায় তাইলে কিনে ওই বক্সে রাখতে পারেন। যা পরে বিতরণ করা যায়। মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের কবল থেকে কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কৃষককে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি ভোক্তার কাছে সহনীয় মূল্যে শাকসবজি পৌছে দেয়ার এই বাজারটি চালু রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
কলাপাড়া প্রেসক্লাব সংলগ্ন পশ্চিপাশে সাতদিন আগে এই কৃষক বাজারটি চালু করে উপজেলা প্রশাসন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম অশেষ চেষ্টার মধ্য দিয়ে কাঁচাবাজারকে সহনীয় রাখার এমন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কৃষককে তিনি খেত থেকে উৎপাদিত শাকসবজি বাজারে নিয়ে আসার জন্য দুটি ভ্যান দিয়েছেন। নীলগঞ্জ থেকে কৃষককে বাজারে কৃষিপণ্য পৌছতে সেতুর টোল ফ্রি করে দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাপাড়াবাসীর সকল সদস্যরা এ কৃষক বাজার টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই কৃষক তার উৎপাদিত কৃষিপণ্য ন্যায্যদামে সরাসরি ভোক্তার হাতে যেন তুলে দিতে পারেন। এর মধ্যে কোন মধ্যস্বত্ত¡ভোগী থাকবে না। থাকবে না কোন ধরনের বৈষম্য।
কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা এই বাজারটি সচল রাখার জন্য দাবি করেছেন। এই বাজারটি খোলার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান সচেতন মানুষ।
আর কে