ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বায়ান্ন বাজার তপ্পিান্ন গলি

মোরসালিন মিজান

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বায়ান্ন বাজার তপ্পিান্ন গলি

রাজধানীর শ্যামবাজার আড়ত থেকে পচন ধরা পেঁয়াজ কিনে রোদে শুকানো হচ্ছে।

রাজধানী শহরে জীবনযাপন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। বিচিত্র সমস্যা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন নাগরিকরা। তবে নিয়মিতভাবে   ভোগাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। চাল ডাল ডিম আলু পেঁয়াজ রসুন কাঁচামরিচ কোনোটারই দাম বাড়ে বৈ কমে না। নানা ছুঁতোয় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে থাকেন অসাধু ব্যবসাীয়রা। এই যেমন এখন আলুর দাম নাগালের বাইরে। নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। তার পরও পুরনো আলুর কেজি ৮০ টাকা! আলুর দামে এটা নতুন রেকর্ড বলেই মনে করা হচ্ছে। তার আগে ডিমের দাম নিয়ে ব্যাপক হুলুস্থূল হয়েছিল।

এখন ডিমের গরম কিছুটা কমলেও অন্য অনেক পণ্যের দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই অবস্থার বড় শিকার রাজধানীর নি¤œ আয়ের মানুষ। কী করে তারা জীবন ধারণ করছেন? না, এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর কেউ দিতে পারবেন না। তবে ক’দিন আগে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে গিয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেল। পাইকারি মার্কেটের আড়তের সামনের অনেকটা জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পেঁয়াজ এবং আদা। কী ঘটনা? জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বললেন, এগুলো ভারত থেকে আমদানি করা। ঢাকায় ঢুকতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই আংশিক পচে গেছে। পচন ধরা আদা পেঁয়াজ রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। এগুলোই পরে কম দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হবে। আর ক্রেতা? ওই যে বলছিলামÑ হতদরিদ্র কিংবা একেবারেই নি¤œ আয়ের মানুষ! এই মানুষগুলোর কথা আমরা ক’জন আর ভাবি? 
বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী আলিয়ঁসে ॥ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দারুণ একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে। ধানমন্ডির এই গ্যালারিতে বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ‘নিরাময়ের ঐকতান’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে নিরীক্ষাধর্মী দেশী ও আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। মোহাম্মদ জাকির হোসেন তরুণ সংগীত গবেষক ও উদ্যোক্তা। সাংস্কৃতিক গবেষণাকেন্দ্র ‘অবকল্প’র প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গত তিন বছর ধরে বাংলার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নিয়মিত নিরীক্ষাধর্মী কাজ করছেন। তার এই নিরীক্ষা সম্পর্কে সুন্দর ধারণা দিচ্ছে বিশেষ এই প্রদর্শনী। চলবে আগামী আজ শুক্রবার পর্যন্ত। সময় করে ঘুরে আসুন। 
বিজয়ের মাস আসছে ॥ বছর ঘুরে আবারও আসছে ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বর মানেই যুদ্ধ জয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিল। নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া হয়েছিল আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণ বাজি রেখে লড়েছিলেন। সেই বীরগাথা স্মরণ করিয়ে দিতেই যেন আসে ডিসেম্বর।

একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেয়, ৩০ লাখ প্রাণ বিসর্জনের মর্মন্তুদ ইতিহাস। এরই মাঝে অন্যরকম আবেগ কাজ করতে শুরু করেছে বাঙালির মনে। রাজধানী ঢাকায় চলছে বিজয় দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি। জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে অলিগলি ফুটপাত ধরে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে হকারদের। এই ছবিটা সত্যি ভীষণ প্রিয়। দেখেই মন গুনগুন করে গেয়ে ওঠে : বিজয় নিশান উড়ছে ওই...।

×