মাগুরায় ইঁদুর নিধন করে ফসল রক্ষ্যা করছেন ভ্যান মিস্ত্রি আব্দুল হান্নান । ইঁদুন নিধন করে পেঁয়েছেন জাতীয় পুরষ্কার । আব্দুর হান্নানের দাবী তিনি গত ১৭ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ ইঁদুর মেরেছেন। জানাগেছে , মাগুরার আব্দুল হান্নান এলাকায় ইঁদুর মারার হান্নান নামে পরিচিত । সকলেই তাকে তাকে এক নামেই চেনেন । বয়স ৫২ বছর । তিনি বিভিন্ন রকমের ইদুর মারার যন্ত্র আবিষ্কার করে করেছেন ।
ইদুর মেরে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার । তিনি ছাতি কল/কাঠিযন্ত্র প্রভৃতি তৈরী করেছেন । আলু টমেটেতে ( যে কোন সবজিতে ) তার তৈরী ওষুধ লাগিয়ে এক একর জমিতে ২/৩ টি ছাতিকল লাগিয়ে দিলে সব ইঁদুর মরে যাবে । খরচ হবে মাত্র ৩০/ ৩৫ টাকা । তিনি ইদুর মারার কাঠি আবিষ্কার করে বিনামূল্যে বিতরন করেছেন । এই কাঠি ইদুরের গর্তে বা ঘরে রাখলে ইদুর তাতে কামড় দিলে সাথে সাথে ইদুর মরে যাবে ।
ইদুর ফসল খেয়ে মানুষের ক্ষতি করে সেই জন্য ইদুর মারা শুরু করেন হান্নান। আব্দুল হান্নানের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামে । পেশায় একজন রিকশা ভ্যান মিস্ত্রি । সদর উপজেলার কাটাখালী বাজারে তার একটি দোকান রয়েছে। এই দোকানে বসে সারাদিন কাজ করেন । যা আয় হয় তাদিয়ে তার সংসার চলে । ২০০৭ সাল থেকে ইদুর মারছেন । ইদুর মারা তার নেশায় পরিনত হয়েছে ।
এবার তিনি ইদুর মারার ছাতা কল ও কাঠি অবিষ্কার করেছেন । জিংক ফসফেট , সুটকি মাছের গুড়া মেজেনটি পানিতে গুলিয়ে তার মধ্যে এক ফুট করে কাটা পাট কাঠি ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে তৈরী হয়ে যাবে ইদুর মারার কাঠি । এই কাঠি ইদুরের গর্তে বা ঘরে রাখলে ইদুর তাতে কামড় দিলে সাথে সাথে ইদুর মরে যাবে । প্রতিটি কাঠি তৈরীতে খরচ পড়ে মাত্র ২ টাকা ।
তিনি বিনামূল্যে এগুলি বাজারে বাজরে ও গ্রামে বিতরন করেন । ২০০৭ সাল থেকে ইদুর মারছেন এবং ইদুর মেরে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল হান্নান । জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযানে বিশেষ ভূমিকা রাখায় মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়নের বড়খড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ হান্নান মোল্যা এবছর ২০২৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় ও মাগুরা জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম মোঃ হান্নান মোল্যার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।