মাদারীপুরের কালকিনিতে আক্তার বাহিনীর সীমাহীন অন্যায়, অত্যাচার ও শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকায় আক্তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসীর ব্যানারে শতাধীক নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো.লাটু বেপারী, নিজাম আকন, মো. রতন, লিটন সরদার, খলিল ঘরামী, আবুল বাশার (জুলহাশ) বেপারী, দেলোয়ার ঘরামী, গিয়াস উদ্দিন ফকির, রশমালা বেগম, জুলেখা বেগম, ওসমান ও মজিতুন খাতুনসহ প্রায় শাতাধীক লোকজন। ভুক্তভোগী ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্যেচর গ্রামের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান ওরফে আক্তার শিকদারের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোক মামুন শিকদার, ইসমাইল শিকদার, বিপ্লব শিকদার, নজরুল ইসলাম, কালু শিকদার ও কাওসার শিকদার মিলে একই এলাকার লাটু বেপারী, আলী সরদার, মজিবর ফকির, সাইদুল আকন, ফরিদ আকন, মোবারক মল্লিক, বাসার বেপারী, শফিক মোল্লা ও মজিদ মোল্লাসহ বেশ কিছু নীরিহ মানুষের বসতঘর ভাংচুর ও বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া আক্তার শিকদারের লোকজনের হাতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ওই এলাকার নীরিহ লোকজন মুখবুঝে অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে আসছে। আক্তার শিকদার আওয়ামী লীগের লোক হওয়ায় ভুক্তভোগীরা এতোদিন থানাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযোগ দিয়েও তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি।
অভিযোগে আরো জানাযায়, আক্তার বাহিনীর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষন, হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধীক মামলা থাকায় অনেকে বর্তমানে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ফলে বর্তমানে ওই এলাকায় বেশ শান্ত রয়েছে। তবে ওই হত্যা ও ধর্ষন মামলার আসামীরা পুনরায় এলাকায় এসে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার পায়তারা করে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তাদের এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ভুক্তভোগী লাটু বেপারী, লিটন সরদার, ওসমান ও রতনসহ একাধিক লোকজন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আক্তার মেম্বর ও তার বাহিনীর লোকজনের অত্যাচারে আমরা ৮ বছর বাড়ি ঘরে থাকতে পারিনি। তারা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলা করেছে অনেক। বাড়ি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষন, হত্যা, লুট, ডাকাতি ও চুরিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তারা বর্তমানে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা আক্তার মেম্বর ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। এ বিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আতাউর রহমান ওরফে আক্তার শিকদারের জানতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তবে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার পায়তারা যারাই করুক তাদের ছাড় দেয়া হবে না।