ছবি: সংগৃহীত।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ৯ দিনে ভারত থেকে ১৩৪০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে চালের পাইকারি এবং খুচরা মূল্য কমেছে, তবে আমদানি মূল্য বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে অনিচ্ছুক হচ্ছেন।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের চাল বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য শুল্কমুক্ত অনুমোদন দিয়েছে, যা আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করতে হবে। তবে, দেশের বাজারে পাইকারি দামের তুলনায় ভারত থেকে আমদানি করা চালের দাম অনেক বেশি। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী এখন আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন এবং লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন।
বেনাপোল স্থলবন্দর এবং কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৪২টি ট্রাকে ভারত থেকে ১৩৪০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে, ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ আমদানি হয়েছে ৪১০ মেট্রিক টন স্বর্ণা (মোটা) চাল। শুল্কায়ন শেষে এই চালগুলো বন্দর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
অর্ক ট্রেডিংয়ের স্বত্তাধিকারী মফিজুর রহমান বলেন, "আমরা ৫৩ টাকা কেজি দরে মোটা চাল আমদানি করেছি, তবে দেশে পাইকারি বাজারে এর মূল্য ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। বাধ্য হয়ে কেজিতে এক টাকা লোকসান দিয়ে ৫২ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে হয়েছে। এর ফলে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ হাজার টন চাল আমদানি করা সম্ভব নাও হতে পারে।"
যশোরের শার্শার স্থানীয় চালের আড়ত থেকে জানা যায়, সেদ্ধ স্বর্ণা মোটা চাল বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি পাইকারি দামে বিক্রি হচ্ছে। নাভারণ বাজারের বৃহত্তম চালের আড়ত চৌধুরী রাইস মিলের স্বত্তাধিকারী রাশেদ চৌধুরী জানান, হাইব্রিড মোটা চাল ৪৯ টাকা এবং স্বর্ণা মোটা চাল ৫১ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নতুন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে, ফলে দাম কমতে পারে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর চালের উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে, যা আমদানির বাজারের প্রভাব ফেলবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, "বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৯ দিনে ৪২টি ট্রাকে মোট ১৩৪০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও চালের চালান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি আমদানি অব্যাহত থাকে, তবে চালের দাম কমে আসতে পারে।"
নুসরাত