রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক গুলোতে মারাত্মক বায়ুদূষণ অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার বিভিন্ন বয়সী মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকি নিয়ে চলচল করছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকছেন নিরবে।
সংযোগ সড়ক গুলো প্রচন্ড ধুলা-বালু ও খানাখন্দ। ফেরি থেকে উঠা ও নামা যাত্রীদের স্বাভাবিকভাবে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধুলাবালুতে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিসহ নানা রোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কগুলো সংস্কারের পাশাপাশি ধুলামুক্ত করতে নিয়মিত পানি ছিটানোর দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে এবং বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পারে ৭টি ফেরি ঘাট রয়েছে। ৩ ও ৪ এবং ৭নং ফেরি ঘাট আংশিক সচল রয়েছে। বাকী ঘাট গুলো বিকল অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। সচল ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক গুলো প্রচন্ড ধলা-বালু ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। এই অস্বাস্থ্যকর ধুলা-বালুর মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঝুঁিিক নিয়ে আসা-যাওয়া করছে।
শেখ মোমিন নামের এক সংবাদকর্মী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র সম্পর্ন অবহেলার কারণে বছরের পর বছর ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক গুলো স্বাভাবিক চলাচলের অনুপযোগি হয়ে থাকে। এই রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও প্রচন্ড ধুলার মধ্যে প্রতিনিয়ত যানবাহন সহ হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে হয়।
খোরশেদ আলম নামের এক চাকরীজীবি বলেন, কর্মের প্রয়োজনে গত ৩বছর যাবৎ এই ফেরি ঘাট দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চলাচল করি। এক দিনের জন্যও ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কে ধুলা-বালু ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছাড়া দেখি নাই। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগ সড়কে কেন এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকবে। তাহলে কি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘুমিয়ে থাকে। আমি মনে করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই সামান্য সংযোগ সড়কের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
আরেফিন নামের আরোও এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। তারপরও সংযোগ সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী থাকে। তিনি বলেন, সংযোগ সড়কের জন্য বিআইডব্লিউটিএ প্রতি যানবাহন থেকে টোল আদায় করে থাকেন। তাহলে কেন তাদের দায় সারা আচারন।
ঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, সংযোগ সড়ক মেরামত দূরের কথা। একদিন পর্যন্ত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেনি। ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি গাড়ী আসা-যাওয়ার সময় ধুলায় শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে পারে দুই পাশে ব্যবসায়ীরা। দুর্ভোগে পড়েন ফেরিতে উঠা-নামা যাত্রীদের।
সংযোগ সড়কের পাশে এক চা ব্যবসায়ী বলেন, এই সড়কে গাড়ী চলাচল করার সময় দোকানে থাকা যায় না। দোকানে বসে কেউ চা খায় না। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের কিছু বলা যায় না। বললে দোকান সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধুলাবালুর কারণে শ্বাসনালি, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও ফুসফুসে ক্যানসারসহ চর্ম রোগ হতে পারে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হন। তবে যাঁরা জন্মগতভাবে শ্বাসকষ্টের রোগী, তাঁদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ধুলাবালু।’
“মারাত্মক বায়ুদূষণ অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ”
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কে চলাচলের অনুপযোগি
শীর্ষ সংবাদ: