বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে টাঙ্গাইলস্থ, রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে আকাশ হতে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে উপস্থিত থেকে মহড়ার বিভিনড়ব কার্যμম সরেজমিনে পর্যবে‣ণ করেন।
এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিভিনড়ব মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য সদস্যগণ উক্ত মহড়ায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই প্রদর্শনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল স‣মতা প্রদর্শন করা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মূলত এ মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করতঃ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আরোও উনড়বত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
উক্ত মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার সমূহ অংশগ্রহণ করে। মহড়ার উল্লেখ্যযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর চৌকস বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিনড়ব প্রকার রণকৌশলসহ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আμমণ, আকাশ হতে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ এবং স্পেশাল অপারেশনসহ সকল ধরনের রণকৌশল অনুশীলন করে।
উক্ত প্রদর্শনীতে বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আμমণ ‣মতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিনড়ব ল‣্যব¯দ সমূহ নির্মূল করে। এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এছাড়াও এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলি আকাশ হতে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের স‣মতা প্রদর্শন করে।
এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা বাংলার আকাশকে শত্রু বিমানের আμমণ হতে প্রতির‣ার ‣েত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের যুদ্ধকালীন প্র¯দতি ও স‣মতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এই মহড়ার মাধ্যমে বৈমানিক এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা নিখুঁতভাবে ল‣্যব¯দ নির্ধারণ এবং যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা নির্ভুল ভাবে ল‣্যব¯দতে আঘাত হানার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। যদিও বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আকাশকে শত্রু বিমানের আμমণ হতে প্রতির‣া, তবে অন্যান্য বাহিনীকে ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট প্রদান করাও অপরিহার্য কাজগুলোর মধ্যে একটি। পরিশেষে এই মহড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকগণ ও সকল সদস্যবৃন্দের দ‣তা উনড়বয়নের পাশাপাশি বিভিনড়ব প্রতিকূল পরিবেশে আকাশ হতে সুনির্দিষ্ট হুমকি মোকাবেলা করার কৌশলগুলিকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করবে।