ভুক্তভোগী পরিবারের ৫ সদস্য কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি
কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করেছে একদল চোর। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর ঘরামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায়,মিজানুর ঘরামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ লাখ টাকা খোয়াগেছে বলে মিজানুরের স্ত্রী দাবি করেছেন। ওই রাতে খাবার খেয়ে অজ্ঞান হওয়া মিজানুর ঘরামীসহ ৫ জনকে বুধবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ভুক্তভোগী পরিবারের ৫ সদস্যকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে মোঃ মিজানুর ঘরামী ও হামিদ বাঘা এখনো অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় রয়েছেন। তবে তার শাশুড়ী খাদিজা (৬০) স্ত্রীর বোনের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা (২৩) ও মিজানুরের ছেলে জিহাদের (১১) চেতনা ফিরে এসেছে।
ঘটনার বিষয়ে মিজানুরের বাড়িতে বেড়াতে আসা স্বজন মারুফা বলেন,তার খালু ও খালাতো ভাই খাবার খাওয়ার কিছুসময় পরই ঘুমিয়ে যান। এরপর রাত ১১ টার দিকে তিনি ও তার নানি খাবার খান। এর কিছু সময় পর তারাও ঘুমিয়ে যান। সকালে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। কোন লোকের সাড়া-শব্দ নেই। ঘরে ঢুকে দেখেন সবাই ঘুমিয়ে আছে। পাশের বেড়াকাটা, সোকেচ এলোমেলো।
মিজানুরের স্ত্রী ছাবিনা বলেন, তিনি ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সকালে এ খবর শুনে এসেছেন। তিনি আরও বলেন,তাদের খাবারের ঘর আলাদা। তাই অনুমান করছেন খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চোর তাদের ঘরের টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করেছে।
কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুয়েল বলেন,ঘটনাটি শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাজু