ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পুলিশ পাহাড়ায় তিন সাধুর স্থান ত্যাগ

শিবচরে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে বিক্ষুদ্ধরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, শিবচর

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিবচরে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে বিক্ষুদ্ধরা

মাদারীপুরের শিবচরে বিক্ষোভের মুখে ইসকন অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হওয়ার আগেই পুলিশ পাহাড়ায় স্থান ত্যাগ করেছেন সেখানে অবস্থান করা তিন সাধু।

 

জানা গেছে,  দীর্ঘ দিন ধরে শিবচর পৌরসভার টিএন্ডটি রোড এলাকার বিনয় মালোর মালিকানাধীন সোনালী মার্কেটের ভাড়া বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসেছে ইসকন। চট্টগ্রামে আইনজীবিকে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকালে শিবচরের ইসকন অফিসের সামনে জড়ো হয় স্থানীয় আলেম সমাজ। পরে তারা বিক্ষোভ করেন। ইসকনের সাধুদের চলে যেতে আধা ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুুদ্ধরা। 

আলেম সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি প্রথমে সাধুদের কাছে গিয়ে চলে যেতে বলে। খবর পেয়ে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিক্ষুদ্ধরা ইসকনের সদস্যদের অফিস ত্যাগসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করার দাবী জানান। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অফিস গুটিয়ে না নিলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আলেমরা। একপর্যায়ে ইসকনের সাধু কানাই প্রভু, নন্দ প্রভু, ননীগোপাল প্রভু একটি প্রাইভেটকারে নিরাপদ স্থানে পুলিশি গাড়ি প্রহরায় চলে যান। ভবনটিতে সাটানো ইসকনের একটি সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ জাফর আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে জঙ্গী সংগঠন ইসকন। আমরা সন্ত্রাসী নামেই এই সংগঠনকে চিনি। ইসকন গতকাল একজন আইনজীবীকে হত্যা করেছে, মসজিদে হামলা করেছে। দেশে প্রায় ৯২ ভাগ মুসলমান থাকা সত্বেও কেউ বলতে পারবেনা আমরা কোন ধর্মের মানুষের উপর কোন হামলা করেছি। শিবচরে ইসকনের অফিস রয়েছে, সেখানে তাদের সদস্যরা থাকেন এবং বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। প্রশাসন আমাদের কাছ থেকে আধা ঘন্টা সময় নিয়েছে। আমাদের দাবী ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করতে হবে। এই অফিস বন্ধসহ সদস্যদের স্থায়ীভাবে এখান থেকে চলে যেতে হবে।’

ইসকনের শিবচর শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য কানাই দাশ মুঠোফোনে বলেন, ‘বেলা ১২ টার দিকে তিনজন আলেম মন্দির ও অফিস কক্ষে এসে আমাদের ৩০ মিনিট সময় বেঁধে দেয়। তারা বলে আধা ঘন্টার মধ্যে যদি মন্দিরের কর্যক্রম বন্ধ না করি তাহলে অবস্থা খারাপ হবে। তারা জড়ো হতে থাকলে আমরা পুলিশ আর সেনাবাহিনীকে জানাই। তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের সরে যেতে বললে আমরা মন্দির ও অফিসে তালা দিয়ে ৩জন সাধু বের হয়ে আসি।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই গুলজার হোসেন (মুঠোফোনে) বলেন, ‘ইসকনের সদস্যরা ওখানে ছিল। বিরাজমান অবস্থা নিয়ে ওখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওনারা (ইসকন সাধুরা) আমাকে পার করে দিয়ে আসতে বললে, আমি তাদের পার করে দিয়ে আসছি।’

এ ব্যাপারে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতার হোসেন বলেন, ‘শিবচরে ইসকনের একটা অফিসে আলেম সমাজের লোকজন এসেছিল। সেখানে ইসকনের ৩জন সদস্য ছিল। তাদের বাড়ি শরীয়তপুর। আলেম সমাজের উপস্থিত হওয়ার পর ইসকন সদস্যরা চলে যায়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

এমএম

×