কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মেলার নামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। সেইসাথে বসেছে মাদকের হাট। প্রকাশ্যে এমন অবৈধ ও নিষিদ্ধ কর্মকান্ড চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দৌলতপুর উপজেলার মশাউড়া গোলচত্বর সংলগ্ন একটি বাগানে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মেলার নামে জুয়া, অবৈধ লটারি, মাদক সেবন সহ আসামজিক ও অবৈধ কর্মকান্ড চলে আসছে। আর সেখানে উঠতি বয়সী যুবক সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে হচ্ছেন সর্বশান্ত।
জানাগেছে, দৌলতপুরের জয়রামপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মেলার নামে এমন অবৈধ কর্মকান্ড চালানো হয়। সেখানে বন্ধ হওয়ার পর একই মেলা শুরু হয় মশাউড়া গ্রামে। শ্যামলের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি চক্র এ মেলার আয়োজন করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় জুয়ার আসর, সেইসাথে চলে মাদকের কারবার। সর্বসাধারণকে আকৃষ্ট করতে সেখানে লটারী ও গানবাজনারও আয়োজন রয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব কর্মকান্ড। আয়োজকদের দাবি তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেলা চালাচ্ছেন। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন মেলার বিষয়টি তারা অবগত নন। মঙ্গলবার রাতে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চের পেছনেই বাসানো হয়েছে জুয়ার আসর। সেখানে উঠতি বয়সী যুবকসহ কিশোর বয়সীদেরও জুয়া খেলায় অংশ নিতে দেখা গেছে। জুয়ার আসরের পাশেই বসতে দেখা গেছে মাদকের আসর। সেখানেও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবনে মত্ত হতে দেখা গেছে। স্থানীয় মাদক কারবারীদের এসব মাদক সরবরাহ করতে দেখা গেছে। আবার গান বাজনাতেও রয়েছে একধরণের অশ্লীলতা। মশাউড়া ও আশাপাশের গ্রামসহ দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় আসা মানুষগুলো জুয়া খেলে ও মাদকে আসক্ত হয়ে নিস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে। তাই মেলার নামে এমন অবৈধ ও অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মেলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আউয়াল কবীর বলেন, এ ধরণের মেলার অনুমতি দেয়া ঠিক না। মেলার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। মেলা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, মেলা বন্ধে আজই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বুধবারও মেলা চলতে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জাফরান