বিদ্রোহের দায়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে তারা দাবি করেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় প্রকৃতপক্ষে কোন বিডিআর সদস্য বিদ্রোহ করেননি। ভারতীয় সৈন্য অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় এবং এর দায় চাপানো হয় নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের ওপর।
বুধবার বেলা ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও রাজশাহী জেলার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবি প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সমন্বয়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বক্তারা বলেন, তাদের ওপর জোর পূর্বক মিথ্যাভাবে দায় চাপিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। জেল খেটেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরে চাকুরিচ্যুত কোনো বিডিআর সদস্য রাষ্ট্রবিরোধী, সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থী কোনো সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হননি। তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের এখনকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের রাজশাহী জেলার সমন্বয়ক মোরশেদ আলম, হারুন-অর-রশিদ, সহ-সমন্বয়ক ফরিদুল ইসলাম, চাকরিচ্যুত নায়েক সুবেদার আবদুল মতিন, গোলাম মোস্তফা, চাকরিচ্যুত হাবিলদার আবদুল খালেক, চাকরিচ্যুত নায়েক তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
জাফরান