ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক, সেন্ট গ্রেগরি বন্ধ ঘোষণা

হামলা ভাঙচুরে চার প্রতিষ্ঠানে শত কোটি টাকার ক্ষতি

নিয়াজ আহমেদ লাবু

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

হামলা ভাঙচুরে চার প্রতিষ্ঠানে শত কোটি টাকার ক্ষতি

এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে  দুদিনে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা

এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে  দুদিনে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও নজিরবিহীন সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ন্যাশনাল  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের তাণ্ডবলীলা  দেখল নগরবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানে আনুমানিক শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর হামলার কারণে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতচিহ্ন বহন করেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস মুখরিত থাকার কথা থাকলেও তা এখন নীরব।  সেখানে  নেই শিক্ষার পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব হামলার ঘটনায় প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করলেও দ্বিতীয় ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। 
এদিকে দুদিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার ঘটনায় পুলিশ কিংবা অন্য কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর  তেমন  কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। সব মিলে  দেশের শীর্ষস্থানীয় চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরে  দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী হতাহত ও বিশাল অঙ্কের ক্ষতির দায় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নজীরবিহীন এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে অনেকে দায়ী করেছেন। 
দুদিনের সংঘর্ষের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাজধানীর মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজ ক্যাম্পাস, সরকারি শহীদ  সোহরাওয়ার্দী, কবি নজরুল কলেজ,  সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ  ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজের ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের  ভেতরে পড়ে আছে দরজা-জালানার ভাঙা অংশ। বিভিন্ন কক্ষে জানালা, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও আসবাবপত্রসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাটের পর প্রাণহীন এ ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার  কোনো পরিবেশ  নেই।
 ড. মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি  সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ন্যাশনাল  মেডিক্যাল কলেজের  চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার কারণে শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রস্তুতির  ক্ষেত্রে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তারা? তারা বলেন, হামলার দিন প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন জানান, ডিএমআরসি কলেজে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি দাবি করেন, ন্যাশনাল  মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সঠিক তদন্ত না করায় সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ  নেয়।  সোমবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের  কোনো কাচ আর অক্ষত  নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০  কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল  মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ  থেকে হামলার উস্কানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত  থেকে  ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প  নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে  দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না। হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল  থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে  থেকে পরিস্থিতি  দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে  কোনো ব্যবস্থা  নেননি।
অপরদিকে আগামী ২৯ নভেম্বর  পেট্রোবাংলার লিখিত পরীক্ষা রাজধানীর ডেমরার মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজে হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার এক বার্তায়  পেট্রোবাংলা জানায়,  পেটোবাংলা এবং এর অধীন  কোম্পানিগুলোতে  কেন্দ্রীয়ভাবে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি  মোতাবেক চাকরি প্রার্থীদের আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সহকারী কর্মকর্তা (প্রশাসন) পদের লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ড. মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজ অনিবার্য কারণবশত পরিবর্তন করা হলো। এর পরিবর্তে পরীক্ষাটি ইডেন মহিলা কলেজ,  হোম ইকোনমিকস কলেজ (আজিমপুর) ও অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে ত্রিশ  কোটি টাকার অবকাঠামগত ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে দাবি করেছেন  সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।  সেদিনের লুটপাটে সার্টিফিকেটসহ কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি  খোয়া গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। জানালা কাচ ও আসবাব পত্রের ভাঙা কাচ সরানো হচ্ছে। ক্লাস কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হবে তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আর  সোহরাওয়ার্দী কলেজের  কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয় বলেও দাবি  করে শিক্ষার্থীদের এক অংশ। তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে  মোল্লা কলেজে হামলা হয়েছে। সব ধরনের সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলারও আহ্বান জানান তারা। তবে দুই কলেজের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করলেও কবি নজরুল কলেজে কথা বলতে নারাজ।
এ ছাড়া  মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইফফাত আরা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলা ও ভাঙচুরে হাসপাতালটির ১০  কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার দাবি, চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল কি না তা জানার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আইসিইউর ৩ চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। মঙ্গলবার  মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুকে  কেন্দ্র করে হাসপাতাল ও কলেজে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক ইফফাত আরা এ দাবি জানান।
ইফফাত আরা বলেন, অভিজিতের মৃত্যুর দিন রাতে  মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি ৯০ ভাগ সমাধান হওয়ার পরও পরিবার ও শিক্ষার্থীরা অন্যদের তা না জানানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন,  রোগীর মৃত্যু হলেই ভুল চিকিৎসা, দায়িত্বে অবহেলা বলে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের লাঞ্ছিত করা  যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
পরিচালক ইফফাত জানান, হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসাসেবার সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট করা, হাসপাতালের সব স্তরের চিকিৎসক নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জিম্মি করে হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের ব্যাপক ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করা, অসুস্থ  রোগীদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, ডা. মাহবুবুর রহমান  মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের ১০০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে  দেশী বিদেশী ছাত্রছাত্রী, সাধারণ  রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক  সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে।
দশ হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কলেজের উপ-পরিচালক ডা. মো.  রেজাউল হক বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের অনুরোধে তাদের আইসিইউ বিল ৩৬ হাজার টাকার বিল স্থগিত রাখি। তার পরিবারের কাছে অ্যাম্বুলেন্স বিল ছিল না।  সেটার জন্য আমরা দশ হাজার টাকা দিতে যাই। পরে তারা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের  থেকে অ্যাম্বুলেন্স  জোগাড় করতে সক্ষম হয়। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দশ হাজার টাকা দিয়ে কি মৃত্যুর ঘটনা চাপা  দেওয়া সম্ভব?
এদিকে অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ডাক্তারের অব্যাহতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি।  সেখানে ডা. মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ  থেকে প্রতিনিধি রাখার জন্য বলা হয়। তাদের বলা হয়  দেশের  যেকোনো জায়গায় একজন  রেজিস্টার্ড  ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য। তারা দুদিন পার হলেও তাদের প্রতিনিধি  দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কর্তব্যরত ডাক্তার  শেফাকে দায়িত্ব পালন  থেকে বিরত থাকতে বলেছি। 
সেন্ট গ্রেগরি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ  ঘোষণা ॥ রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা এবং হামলা-প্রতিহামলার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হওয়ার পরই  সেন্ট  গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ  ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ২০২৫ সালের নার্সারি ও প্রথম  শ্রেণিতে ভর্তির লটারি স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার কলেজের পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে রবিবার বিকেলে পুরান ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে  সেন্ট  গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে কলেজের  শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুরসহ ক্যান্টিনেও হামলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  সেন্ট  গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা  দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মর্নিং শিফট,  ডে শিফট ও কলেজ শাখার সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সবকিছু অনুকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।
প্রথম  শ্রেণি ও নার্সারির লটারি স্থগিতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  সেন্ট  গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫ সালের প্রথম  শ্রেণিতে (বাংলা ভার্সন) এবং নার্সারি (ইংরেজি ভার্সন) ভর্তির জন্য নির্ধারিত লটারি ও ভর্তির তারিখ বিশেষ কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না  দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে। এর আগে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ  সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ  ঘোষণা করা হয়।

×