বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাগেরহাটে নিহত ৬ শহীদ পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য এমএ এইচ সেলিম। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁর নিজ বাসভবন ‘মেহেদী কুঞ্জ’এ শহীদ পরিবারের নিকট তিনি অনুদানের এ চেক হস্থান্তর করেন।
এর আগে বিকেলে বাগেরহাট-২(কচুয়া ও সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে শহরের খানজাহান আলী মাজার মাঠে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। হাকিমপুর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এম এ এইচ সেলিম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, মেহেবুবুল হক কিশোর, শেখ মাহবুর রহমান টুটুল, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিকদার নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাগেরহাট সদর উপজেলা ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজার হাজার নারী-পুরুষ-যুবা অংশ গ্রহন করেন। তারা এম এ এইচ সেলিমকে আবারও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ এইচ সেলিম বলেন, বাগেরহাটবাসীর চাওয়ায় আমি সংসদ সদস্য হলে একটি মেডিকেল কলেজ করব, জেলা স্টেডিয়ামের পাশে যার জন্য জমি ক্রয় করা রয়েছে। কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকায় থাকা মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করব। এছাড়া বাগেরহাটবাসীর উন্নয়নে আমার আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে, সংসদ সদস্য হলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
সিলভার লাইন গ্রুপের মালিক বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ এইচ সেলিম ৯০ এর দশকের শেষ দিকে বাগেরহাটের রাজনীতিতে আসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই প্রভাবশালী নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনকে হারিয়ে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সংসদ সদস্য থাকাকালীন মুনিগঞ্জ সেতু, শহররক্ষা বাধ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে তাকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে যেমন দেখা যায়নি, বাগেরহাটেও তেমন আসেননি।
রাজু