সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক মিলি আক্তারকে সংবর্ধনা দিয়েছে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মাধ্যমে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মিলি’র হাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়ার প্রীতি ও হালিমা সহ মিলির বাবা-মা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার বারুইগ্রাম গ্রামের কলা বিক্রেতা সামছুল হক ও গৃহিনী আনোয়ারা বেগমের কন্যা মিলি। সে ৩০ অক্টোবর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে গত চারদিন আগে নিজ গ্রাম নান্দাইলে আসেন। খোলা গাড়িতে করে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় তাঁকে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। পরে মঙ্গলবার নিজ এলাকায় অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মাধ্যমে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আলম ফরাজির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দিবাকর ভাট, চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভুইয়া, কৃষি কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আবুল সাদাত, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, মিলির স্থানীয় কোচ দেলোয়ার হোসেন উজ্জল প্রমূখ।
সংবর্ধিত হয়ে মিলি আক্তার বলেন, অনেক জায়গায় আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজ এলাকায় বাবা-মা‘র সামনে এই সংবর্ধনা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এই সাফল্যের পেছনে পুরো জাতির দোয়া এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পাল বলেন, আমরা চাই নান্দাইল থেকে মিলির মত আরও অনেক খেলোয়ার বের হয়ে আসুক। এই জন্য খেলার মান উন্নয়নে সরকারি খাস জায়গা উদ্ধার করে সেখানে মাঠ করে খেলা-দোলার পরিবেশ করে দেওয়া হবে।
রাজু