ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি চৌকি বসায়
রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে এমন খবরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তল্লাশি চৌকি বসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করা হয়। এদিকে বন্দরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪টি বাস আটক করে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে মহাসড়কের সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনে ও বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। সোমবার বিকেলে ৪টি বাস আটকের কথা স্বীকার করেছেন বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ৫০ জন সদস্য সাইনবোর্ড অংশে অবস্থান নেয়। ঢাকাগামী প্রায় সব পরিবহনকেই পুলিশ সদস্যরা থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করে। তবে এ তল্লাশির ফলে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। নির্বিঘেœ যাত্রী ও চালকরা গন্তব্যে যাতায়াত করতে পেরেছে। বাস থামিয়ে তল্লাশি করাকালীন সময়ে শাহ আলম নামের কোমল মিনিবাসের এক যাত্রী জানান, ঢাকায় কোনো একটি গ্রুপ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালাতে পারে এ জন্য তারা এই চেকপোস্ট বসিয়েছে বলে আমাদের বলেছে। আমাদের চেক করে ছেড়ে দিয়েছে। রজনীগন্ধা পরিবহনের এক চালক জানিয়েছেন, সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশির পাশাপাশি প্রত্যেকের গন্তব্য কোথায় তা জিজ্ঞেস করেছে। তবে সড়কের কোথাও যানজট দেখেনি তিনি। চেকপোস্ট বসানোর কারণ জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন জানান, আমাদের কাছে তথ্য আছে একটি গ্রুপ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষদের এনে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হবে। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা, ফরাজিকান্দা, মদনপুর, মদনগঞ্জ, ইস্পাহানি ও কুড়িপাড়া এলাকা পুলিশ কয়েকটি বাস আটক করে। পুলিশ জানায়, সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি সংগঠন কর্মসূচি আহ্বান করে। তাতে অংশগ্রহণের জন্য সংগঠনের কর্মীরা বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়। তারা বাসযোগে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করে। লোকজন জড়ো হতে দেখে স্থানীয়রা বাসগুলো আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বাসগুলো আটক করে নেতাকর্মীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেন। বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ৪টি বাস আটক করা হয়েছে।