.
এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রকল্প হাতে নিয়ে সদর উপজেলার আসাননগর ও রাজাগাঁও ইউনিয়নে সাড়ে ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি ব্রিজ এবং প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক। কিন্তু বছর পার হতে না হতেই সামান্য বৃষ্টিতে ব্রিজের সংযোগ সড়কটি ভেঙে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
বর্তমানে ব্রিজের ওপর দিয়ে চলতে পারছে না কোনো ধরনের ভারি যানবাহন। গত তিন মাস আগে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা নিরসনে কার্যকর সমাধান করতে পারেননি। ফলে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রিজটি প্রায় অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনো উপকারে আসছে না। বরং ব্রিজের সংযোগ সড়কটি এখন পথচারীদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংযোগ সড়কের বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয়রা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অসংখ্যবার অবগত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। গেল বছরের ২ মার্চ ব্রিজটি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলী সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ সেন।
ব্রিজটি উদ্বোধনের পর থেকেই কয়েকবার সড়কের দেওয়াল ও ব্লকসহ নদীতে ধসে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে ধস ঠেকায়। কিন্তু এবারের সামান্য বৃষ্টিতে আবারও ব্রিজটির পশ্চিম তীরের সড়কের একটি অংশ ব্লকসহ ভেঙে যায়।
এ ছাড়া সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এভাবে ক’দিন থাকার পর স্থানীয়রা বালুর বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সংস্কার করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তবে মানুষ ছাড়া সবধরণের ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ব্রিজটি দিয়ে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, এ প্রকল্পের আওতায় শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা করা হয়। সম্প্রতি টানা বর্ষণে সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে বলে আমরা অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলেই সংস্কার করা হবে। আর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস বলেন, ব্রিজটির সঙ্গে সংযোগ সড়কটি জরুরিভাবে সংস্কারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যেই ঢাকায় অ্যাস্টিমেট পাঠানো হয়েছে।