ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে

রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনসেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আব্দুল খলিল (৪০) মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।

এরআগে, গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর এভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

এতে রঙ মিস্ত্রী খলিলসহ দগ্ধ হন তার স্ত্রী গৃহিণী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)। তারা দুজনই গার্মেন্টস কর্মী।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। সকালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা গেছে। 

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খলিলের স্ত্রী রুমা। এছাড়া তার ছেলে আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫, ইসমাইলের ২০ শতাংশ দগ্ধ। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪ ও তার স্বামী শাহজাহান ৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।

মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচী মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। রোববার ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

খলিলের ভয়রা আব্দুল হালিম জানা, রোববার ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন। 

তিনি জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।

ইসরাত

×