সাংবাদিক সম্মেলন
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বহাল গাছিয়ার চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধ শিক্ষক দম্পত্তি হত্যার বাদীর সাথে দূর ব্যবহারের প্রতিবাদেও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে বৃদ্ধ দম্পত্তির তিন সন্তানরা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদি কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মামালার বাদী নিহতদের সন্তান আবুল বাশার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উল্লেখ করেন, গত ১২ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় আমি ডিবি অফিসে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তদন্ত কারী কর্মকর্তার কাছে যাই। তদন্তকারী কর্মকর্তা কে তার রুমে না পেয়ে পাশের খোলা রুমে লোকজনের সমাগম দেখে সেখানে খুঁজতে যাই। ঐ রুমে গিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মহোদয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মঈনুল হোসেন ও আমার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং আরো ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য দেখতে পাই। তখন পুলিশ সুপার মহোদয় আসামির সাথে কথা বলতেছিলেন। আমি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি মামলার বাদী হিসেবে পরিচয় দেই। তৎক্ষণাৎ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে অপমান করে রুম থেকে বের করে দেন। এবং তাতে উপস্থিত সকলের মধ্যে আমার ব্যাপারে বিরুপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়। যাহা অল্প কিছুক্ষণ পরে ডিবি অফিসের এস আই মহসিনের অযৌক্তিক আক্রম নাত্বক আচারনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাছে গিয়ে দেখি তিনি মামলার আসামি কে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য কোর্টে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এস আই মহসিন কে নিয়ে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নোট করছেন। এক পর্যায়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তা আসামির অসত্য বক্তব্য অনুযায়ী নোট লিখলে আমি তা আপত্তি জানাই। এতে এস আই মহসিন আমার সাথে উদ্ধত আচারন শুরু করে। তখন আমি তদন্ত কারী কর্মকর্তার রুম ত্যাগ করে অফিসের বাহিরে চলে যাই। পরবর্তীতে আমি রুমের বাইরে আসলে তদন্ত কারী কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধত আচারনের বিষয়টি ভুলে যেতে বলেন। তখন সেখানে আবার এস আই মহসিন উপস্থিত হয়ে আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করতে তেড়ে আসেন কিন্তু কোন ভাবে আমি তদন্ত কারী অফিসারের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়ে উক্ত অফিস এড়িয়া ত্যাগ করে ভয়ে চলে আসি।
মামলার বাদী বলেন, আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে হত্যাকান্ডের পূর্ণ রহস্য উন্মোচন করা হয় এবং পুলিশ কর্তৃক হেনস্থা করার ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী করেন।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার বহালগাছিয়ায় ডাবল মার্ডার ঘটনা ঘটে চলতি বছরের ২০ জুলাই রাত অনুমান ৮ টা থেকে ২১ জুলাই সকাল ১০ টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীরা হত্যা করে। খুনের শিকার দম্পতিরা হলেন, মৃত আশরারফ আলী হাওলাদার(৭৭) ও তার স্ত্রী মৃত হোসনে আরা বেগম (৭০)।
শিহাব উদ্দিন