দেশের পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করে সেই টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস ও মাইক্রোবাস ভর্তি করে ঢাকায় লোকজন আনছে একটি প্রতারক চক্র। রবিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসব লোকজন আসলে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বুঝিয়ে নিজ এলাকার উদ্দেশ্যে ফেরত পাঠায়। এসব লোকজন যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও ঢাবির শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশের পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে লোকজনদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে একটি এনজিও। পড়ে তাদের সমাবেশের কথা বলে ঢাকায় আসার আহ্বান জানায় তারা। প্রথমে ওই এনজিও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে তারা শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রবিবার রাত থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে লোকজন আসতে থাকে। পরে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব গাড়ির ব্যানারে লেখা, ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পুলিশের রমনা জোনের এক কর্মকর্তা বলেন, "সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। তাদের থেকে রেজিষ্ট্রেশন বাবদ জনপ্রতি এক থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং টাকার অঙ্ক ১০ কোটিরও অধীক। এই গোষ্ঠীটিকে প্রতিহত করার জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এখন পর্যন্ত ৪০-৫০ টা বাস আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি।"
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই প্রতারক চক্রটি ২০২২ সাল থেকে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতরাণার মামলাও হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা পরে কথা বলছি। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে
জাফরান