ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পাকশী বিভাগে চার বছরের মালবাহী ট্রেনে সর্বনিম্ন আয় ৫০ কোটি টাকা

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পাকশী বিভাগে চার বছরের মালবাহী ট্রেনে সর্বনিম্ন আয় ৫০ কোটি টাকা

রাজনৈতিক অস্থিরতা,ডলারের দামবৃদ্ধি,ট্রেনে মাল পরিবহণের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকাসহ নানা কারণে চলতি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগে মালবাহী ট্রেনে মাল পরিবহণ  আয় কমে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। চলতি সালে মালবাহী ট্রেনের আয় হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি টাকা । অথচ ২০২১ সালে একই মালবাহী ট্রেনে মাল পরিবহণ করে আয় করেছিল ১৮০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। যে আয় ছিল গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রজানায়, পাকশী বিভাগের অধীনে ২০২১ সালে এক লাখ ৪৭ হাজার ১৭৪টি ওয়াগনে ৩৫৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার ৫০৮ কেজি মালামাল পরিবহণ করে রাজস্ব আয় করা হয় ১৮০ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৮ টাকা ।
২০২২ সালে পণ্যবাহী ট্রেনে ১ লাখ ৯ হাজার ১৯২টি ওয়াগনে মালামাল আনা হয় ২৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ কেজি। এতে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১২৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৫ টাকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৮৩টি মালবাহী ট্রেনে মাল পরিবহণ করে  আয় করা হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৯৪টি মালবাহী ট্রেনে মাল পরিবহণ করে ৫০ কোটি টাকা আয় করা হয় ।

২০২৪ সালের শুরুতেই বিশ্বব্যাপি রাজনৈতিক অস্থিরতা,বিভিন্ন দেশের যুদ্ধসহ নানা কারণে ডলারের দাম বাড়ায় বাংলাদেশে পণ্য আমদানি কমতে থাকে। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে যোগ হয় ভারতের সঙ্গে একমুখী বাণিজ্যের কারণে ট্রেনে পণ্য আমদানি কমে যায়। এরমধ্যে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে আমদানি সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছিল। এখন তো ভারতীয় পণ্য ট্রেনে আমদানি নেই বললেই চলে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ বলেন, রেলপথে আমাদের দেশের সঙ্গে ভারতের মালবাহী ট্রেনে পণ্য পরিবহন দীর্ঘদিন ধরে চলমান। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে মালবাহী ট্রেন কম আসায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালবাহী ট্রেনের আয় হয়েছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

 

×