গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাপমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আজহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভুল ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সাপমারা ইউনিয়নের কাটা মোড়ে সাপমারা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে রামপুরা গ্রামবাসীর আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ভুক্তভোগী আজহারুল ইসলাম প্রধান আজাহার মেম্বার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কায়ছার ও ছানোয়ার গংরা বর্ণিত জমিটি দখল করে। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কয়সার ও ছানোয়ার গংরা গত ২০-০১-২০১৮ তারিখে রাতে আমার নিজ ভোগ দখলিয় ২বিঘা জমির প্রায় ৬শ কলা গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় ২২-০১-২০১৮ সালে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ধান কাটার সাথে বিএনপি কিংবা আমার ব্যক্তিগত কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ধরণের সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে ও আমার দল বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন রামপুরা মৌজার জেএল নং ১১২ খং নং ১৫৪ ও দাগ নং ৭৮ সাবেক দাগ নং ৯১৬ ও ৯১৭ মোট জমি ১.০৭ শতক।
নালিশ কারী মো: কয়সার আলী গং এবং আমার নানী আমিনা বগমের দাদা-দাদির সম্পত্তি। উক্ত জমি ওয়ারিশ সুত্রে মালিকরা বিভিন্ন সময় ১৯টি দলিল মুলে বিক্রি করে। এর মধ্যে অন্যান্য দাগের জমিও রয়েছে। সেই থেকে কবলা খরিদ মুলে শান্তিপূর্ণ ভাবে এই জমি আমার নানা-নানি ভোগ দখলে আছে। নানা মারা গেলে ১.০৭ শতক জমি আমার নানি ২ মামা ও মা সহ ৩ খালার নামে মাঠ রেকর্ড প্রস্তুত হয়। এখন কয়সার ও ছানোয়ার গংরা নতুন করে এই জমি গুলিতে দখলের অপচেষ্টা করছে। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।