ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া চাঁদা দাবির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া চাঁদা দাবির অভিযোগ

সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্লা বাড়ি গ্রামের একটি রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলে বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন ওই পথে চলাচল করা একাধিক পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ উঠেছে বাঁশের বেড়া দেওয়া ওই এলাকার ট্রাক চালক আলম শিকদার ওই পথে চলাচল করা স্থানীয় পরিবারগুলোর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। তবে এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন আলম শিকদার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতাশার ও বিল্লা বাড়ির সীমান্তবর্তী এলাকার রাস্তাটির মাঝখানে বাশেঁর বেড়া দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বেড়ার কারণে স্থানীয়দের পাশের খাদ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সূত্রমতে, স্থানীয় বাসিন্দা ট্রাকচালক আলম শিকদার তার পরিবারের লোকজন নিয়ে রাস্তা বাঁধার কারণ দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা পরিবারগুলোর কাছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ার কারণে রাস্তাটি বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব গাজী বলেন, রাস্তাটি আটকে দেওয়ায় মানুষের চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেড়ার পাশ দিয়ে নেমে ডোবা পার হয়ে ধানক্ষেতের মধ্যদিয়ে এখন তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। আব্দুল ওহাব মাস্টার বলেন, ২০২০ সালে যখন এখানে আমি জমি ক্রয় করেছি তখন এই রাস্তাটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত দেখানো হয়েছে।

হঠাৎ করেই দুই সপ্তাহ আগে রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছেন আলম শিকদার ও তার পরিবারের লোকজন। পরে জানতে পারি, ২০০৩ সালে নাকি তারা মাটির রাস্তাটি বাঁধাই করেছে। তাই এখন তারা লেবার খরচ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন।
আব্দুল ওহাব আরও বলেন, আশপাশের অনেক জমির মালিক রয়েছেন যাদের এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হয়। সবাই মিলে বসে স্থানীয় সালিশে আলম শিকদারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তারা (আলম শিকদার) সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যে কারণে রাস্তাটি গত ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেখানে দেওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন আলম শিকদার।
এ বিষযে অভিযুক্ত আলম শিকদার বলেন, রাস্তার জন্য কোনো চাঁদা চাওয়া হয়নি। মূলত ২০০৩ সালে কয়েকজন শ্রমিক ও আমি নিজে মিলে মাটি কেটে রাস্তাটি বাঁধাই করেছি। এখন ওই এলাকার বিভিন্ন ওয়ারিশরা তাদের জমি বিক্রি করছেন নতুন নতুন লোকজনের কাছে। তাই রাস্তা বাঁধাইয়ের খরচ বাবদ কিছু টাকা দাবি করা হয়েছে। টাকা দিলে বাঁশের বেড়া তুলে ফেলা হবে।
রবিবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, কোনোভাবেই জনগণের চলাচলের পথ আটকানোর সুযোগ নেই। সরেজমিনে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

×