জামালপুরের বকশিগঞ্জ পাহাড়ী সীমান্তের আদিবাসী জনপদে ২৪ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ানগালা উৎসব।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ওই ওয়ানগালা। নবান্নে শস্য দেবতাকে ফসলের কিছু অংশ তুলে দিতেই আদিবাসী সম্প্রদায় এই ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসবের আমেজ থাকে বকশীগঞ্জের পাহাড়ি অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে। শুধু পাহাড়ি নয় এই উৎসবে অংশ নেয় বাঙালীরাও।
আদিবাসীদের বিশ্বাস শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ এর ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন হয়। তাই ওই শস্য দেবতার প্রতি দয়ার প্রার্থনা জানিয়ে নতুন ফসল আহারের অনুমতি প্রার্থনা করা হয়। জামালপুরের ভারতীয় সীমান্তবর্তী বকশিগঞ্জের দিঘলাকোনা এলাকায় ওয়ানগালা উৎসব পালন করেছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাহাড়িরা।
ওয়ানগালার শুরুতে থক্কা অনুষ্ঠান, শস্য দেবতার উদ্দেশ্যে ফসল উৎসর্গ, প্রবেশগীতি, প্রার্থনা, বাণীপাঠ, উপদেশ ও অর্পনগীতিসহ নানা আয়োজন করে দিঘলাকোনার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লী। সেখানে অংশ নেয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচ শতাধিকের বেশি বাসিন্দারা। উৎসবটিকে ঘিরে আনন্দের মেলায় পরিনত হয় পুরো ধর্মপল্লী।
আদিবাসী সম্প্রদায় ছাড়াও ওই ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে অংশ নেয় এই পাহাড়ী এলাকার সাধারন বাঙ্গালীরাও। সব পরিবারের ভালবাসা, আনন্দ এবং দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল কামনা করা হয় ওয়ানগালার প্রার্থনায় অনুষ্ঠানে।
নৃত্য পরিবেশন আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিগলাকোনা এলাকায় বসেছে মেলা।
বকশীগঞ্জে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব
শীর্ষ সংবাদ: