পৃথিবীর ভারীবস্তু পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। সেই লশের খাটিয়া বহন করছেন বাবা। গাজীপুর ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৩)এর মরদেহ জানাযা শেষে কবরস্থানে দাফন করতে কাঁধে বহন করছেন ফেনীর ফাজিলপুর সাউথ ইষ্ট ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রফেসর মোতাহের হোসেন শাহীন।
নাঈম ফতেহপুর গোলাম নবী ভুঁইয়া বাড়ীর সন্তান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নাঈম অত্যন্ত মেধাবী।গতকাল গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই শিক্ষার্থীর। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তখন থেকে তাকে এক পলক দেখতে বাড়ীতে ভিড় জমায় আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশি ও সহপাঠীরা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে নাঈমের গ্রামের বাড়ী ফেনী সদর উপজেলার ফতেহ্পুর ভূঞাঁ বাড়ীতে। বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে দেশসেরা প্রকৌশলী বানানোর। সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিল পল্লী বিদ্যু অর দাযিত্ব অবহেলার কারনে। এমন মৃত্যুর জন্য বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে দায়ী করেন স্বজনরা। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করেন যেন ভষিষ্যতে এমন মৃত্যু কারো না হয়।
নাঈমের চাচা মুফতি মোফাচ্ছের হোসেন মামুন বলেন, পরিবারে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাঈম দ্বিতীয়। তার বড় ভাই শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। নাঈম খুবই নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছিল। ২০১৯ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। নিহত নাঈম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন।
রবিবার সকালে ফতেহপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে দাদা দাদীর কবরের পাশেই শায়িত করা হয মেধাবি শিক্ষার্থী নাঈম।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন মো. মুস্তাকিম মাহিন (২২), মোজাম্মেল হোসেন নাঈম(২৩) ও জুবায়ের রহমান (২৩)।
জাফরান