শামা ওবায়েদ
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশকে সঠিক পথে নিতে না পারলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে। শুক্রবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি সফল করতে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
শামা ওবায়েদ বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর এখন আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি, ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যাবে না, গুম করবে নাÑ সেই একটা প্রশান্তি আছে আমাদের। সেই সঙ্গে একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এখনো কমছে না, অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল হয়নি।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার ১৯ দফা, তারপর খালেদা জিয়া ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলেন। এর ওপর ভিত্তি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। দেশের সব পর্যায়ের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা করেই তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন। আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ধারা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচন ব্যবস্থা ঠিক করা। দেশের যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেখ হাসিনা বা তার পরিবার ধ্বংস করেছে, সেগুলোকে ঠিক করা। কিন্তু এখনো সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছতে পারিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেছ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, খন্দকার ফজলুল হক, আতাউর রশিদ, আলী আশরাফ প্রমুখ। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামানসহ ফরিদপুর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।