কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে
সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের আংগুটিয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় এবং এটি জাতীয়করণ করা হয় ২০১২ সালে। কিন্তু দীর্ঘ ৫২ বছরেও এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নির্মিত হয়নি একটি কালভার্ট বা সেতু। ফলে গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁশের তৈরি করা এই সাঁকো দিয়েই চলছে পারাপার।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অলী হোসেনের মা মারিয়া আক্তার শিউলি জানান, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে একটি খাল রয়েছে। ওই খালের ওপর সেতু না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় বাচ্চারা পড়ে যায় কি না দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এজন্য সংসারের কাজ ফেলে বাচ্চা নিয়ে স্কুলে বসে থাকতে হয়। তবে এই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সওকত আলী বলেন, খালের ওপর সেতু না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। খালের ওপর দুইটি বাঁশ ফেলে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সেতুর ওপর দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া অনেক কষ্ট হয়। অনেক শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে বই-খাতা ও স্কুল ড্রেস ভেজা অবস্থায় স্কুলে আসে। তিনি আরও বলেন, এই খালের ওপর সেতু না থাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক অবকাঠামো করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আমি সবেমাত্র এই উপজেলায় যোগদান করেছি। তাই এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে স্কুলটি পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।