ভেসাল জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার
নোয়াখালীতে সবগুলো খালে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল বসিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্র। এতে নষ্ট হচ্ছে ডিম, রেণু ও মাছের পোনা, ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। খালের ওপর বাঁশের বেড়া দিয়ে বাঁধ দিয়ে কিছুদূর পর পর বসানো হয়েছে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জেলার সুবর্ণচর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের মরা খালগুলোতে দুষ্কৃতকারীদের নিষিদ্ধ ভেসাল জাল বসিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। এ সকল খাল দিয়ে এক যুগ পূর্বেও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে বড় বড় চাম্পান নৌকা পণ্য নিয়ে আসত।
নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘উন্মুক্ত জলাশয়ে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা বেআইনি। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা অনেক নিষিদ্ধ ভেসাল জাল স্থাপনাসহ ধ্বংস করেছি এবং এ কার্যক্রম চলমান আছে। বৃহত্তর এ জেলার সুবর্ণচরের দক্ষিণের এক সময়ের ঐতিহ্য হারানো মরা খালগুলোতে, বিবিরহাট এবং দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শতাধিক এরূপ খালে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনি প্রক্রিয়ায় কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে তড়িৎ গতিতে মাছ ধরা বন্ধ না হলে অচিরেই এসব মাছ হারিয়ে যাবে চিরকালের মতো, এভাবে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে অচিরেই দেশীয় মাছ ঠাঁই পাবে ‘জাদুঘরে’।’
সাধারণত বর্ষাকালে বসানো হলেও সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন পুকুর ও খামারের মাছ মিশে যাওয়ায় সেই প্রবণতা বেড়েছে। নির্বিচারে মাছ ধরায় কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, পোয়া, টেংরা, পুটি, চিংড়ি, চান্দা, বাইন, মলা, ঢেলা, পাঙ্গাস, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারে ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাপ, ব্যাঙ, কুইচ্চাসহ হরেক প্রজাতির জলজপ্রাণি। মৎস্য আইনির ঠিকঠাক প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল বন্ধ করা না গেলে অচিরেই হারিয়ে যাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এলাকার মানুষের দাবি ঢিলেঢালা নয় নিয়মিত কঠোর অভিযান হোক।