.
শুক্রবার বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর আব্দুল খালেক একাডেমি প্রাঙ্গণে দুইদিনব্যাপী নবান্ন ছোয়া পিঠা উৎসবের আয়োজন করে জাগ্রত যুবসমাজ সংগঠন। গ্রামীণ এ উৎসবে আগত পিঠাপ্রেমীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। ছোটবড় সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি মেলাকে জমিয়ে তোলে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারো বেশ কয়েকটি স্টলে নানা রকমের সব লোভনীয় দেশীয় পিঠা এসেছে এ মেলায়। বিভিন্ন নামে কয়েকটি স্টল সাজিয়ে বসেছেন দোকনিরা। বেচাবিক্রির চেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি যেন ঠাঁই পেয়েছে সকলের মধ্যে। এরমধ্যে আব্দুল খালেক একাডেমি পিঠা ঘরের রকমারি চিতই পিঠা ও হাঁসের মাংসের দোকান নিয়ে বসেছে একটি স্টল। পিঠাঘরে দায়িত্বরতদের প্রায় সবাই রঙিন সাজে নানা কথায় আকৃষ্ট করবার চেষ্টা করছে পিঠাপ্রেমীদের।
এদিকে বাহারি সব সাজে বন্ধু মহল পিঠা ঘরের নিয়ে এসেছে, দেশীয় মান ও স্বাদের সব পিঠা। সাশ্রয়ী মূল্যে পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এমন দাবি করে দোকানি বলেন, আমাদের সব পিঠা খুবই কম মূল্যে পাচ্ছেন পিঠাপ্রেমীরা। পিঠা বিলাশ স্টলের পরিচালনায় যিনি তিনি বললেন, স্বুস্বাদু সব দেশীয় আইটেম রয়েছে তাদের।
এছাড়া, দাদা-নাতি পিঠা ঘরে নুশরাত জাহান ঐশী এনেছে পাকান চিতই নারিকেল নাড়ু ভাপাসহ হরেক রকমের পিঠা। বিক্রির চেয়ে আনন্দ বেশি বলে জানায় ছোট্ট এ সোনামণি। দাদির হাতের ছোঁয়ার পিঠা যে একবার খাবে তার স্বাদ কখনো ভূলতে পারবে না বলে জানায় সে। এদিকে, আগতরা বেশ আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করছেন পিঠা মেলা। বিক্রির চেয়ে আনন্দটাই বেশ জমে উঠেছে বলে দাবি সকলের। হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধুম লাগায় খুশি ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর জাগ্রত যুবসমাজ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে কমলাপুর মৌলভীর মাঠে পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দুদিন ব্যাপী এই পিঠা মেলায় প্রায় ২০টি স্টল নিয়েছে বিভিন্ন এলাকার নারীরা।