দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছ। ঘাটের দুই পাশে অসংখ্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অযন্তে পড়ে রয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৩হাজারের অধিক মানুষ। কর্ম পরিবর্তন করছে অনেকে।
শুক্রবার দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় ঘুরে একাধিক ব্যবসায়ী ও হকারদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ৩কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের জৌলুস হারিয়ে যাওয়ায় সকল দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে গুরুত্ব হারিয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট।
আরিফ নামের এক হকার বলেন, ফেরিতে ঝালমুড়ির ব্যবসা করি। এক সময় ঝাঁল মুড়ির ব্যবসা করে সংসার চালিয়েছি। এখন এই ফেরি ঘাট দিয়ে আগের মতো গাড়ি পারাপার হয় না। বেচা-বিক্রিও ভালো না। এক দিন পর পর যা আয় করি সেটা দিয়ে সংসার চলে না। যে কারণে অনেকে ব্যবসা পরিবর্তন করেছে। অনেকে ব্যবসা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।
শাহীন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটের সেই রুপ নেই। একটি সময় এই ফেরি ঘাটের ব্যবস্থা দেখেছি। এখন ঘাটের পাশে আগের মত যানবাহন ও মানুষ নদী পারাপার হয় না। যে কারণে ঘাটে আগের মত ব্যবসা-বাণিজ্যে নেই। ফরি ঘাট ও ফেরি গুলো যানবাহনের অভাবে অলস সময় কাঁটায়। আগে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিত ফেরি গুলো।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ব্যস্ততা নেই। যাত্রী দেখা মেলে না। লঞ্চগুলো ঘাটে পড়ে থাকে যাত্রীর অভাবে। তিনি বলেন, ঘাটের সেই চিরচেনা চেহারা নেই। এই লঞ্চ ঘাটের পূর্বে রূপে নিতে হলে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহব্যবস্থাপক আলিম দাইয়ান বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন শুরু হওয়ার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রায় ৭০ শতাংশ যানবাহন কম নদী পারাপার হয়।
যে কারণে দৌলতদিয়া পারে কোন যানজটের সৃষ্টি হয় না। বরং ফেরিগুলো অলস সময় পড়ে থাকে। ঘাটের দুই পাশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো এখন গোয়াল ঘরের রূপ নিয়েছে। শতশত প্রতিষ্ঠান অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।