ধান কাটাকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সঙ্গে আতিকুল ও নূরল গংদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতরা বর্তমান হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকায় জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সঙ্গে আতিকুল ও নূরলদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে উভয় পক্ষের লোকজন সেখানে জমায়েত হতে থাকে। এ সময় তাদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে আতিকুল ও নূরলের লোকজন লাঠি সোঠা নিয়ে ইউপি সদস্য হামিদ ও তার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ফলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আহত আব্দুল হামিদ বলেন, ওই জমি আমার। আমি আবাদ করেছি। এমনকি ধান কেটে জমিতে রেখেছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই তারা লাঠি সোঠা নিয়ে এসে ধান তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা করে। আমি আমার ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হই।
অপরদিকে অভিযুক্ত নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন জামাই এই জমি আগে থেকে ভোগ করে আসছে। তারা জোড় পূর্বক জমি নিজেদের দাবি করছে। আজকে আমরা ধান তুলতে আসলে তারা এসে আমাদের বাধা দেয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রধান করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাদের শান্ত করেছি। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএম